[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ভারত সীমান্তবর্তী ছোট হরিণা বাজারে অগ্নিকান্ড ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

৫৯

॥ বরকল উপজেলা প্রতিনিধি ॥

ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভারত সীমান্তবর্তী রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার ভুষণছড়া ইউনিয়নের ছোট হরিণা বাজার পুড়ে গেছে।

সোমবার (৩১ মে)  মধ্যরাতে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে ২৩টি দোকান, ১টি মক্তব ও ৫টি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্য ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ২কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সুত্র জানায়, মধ্যরাতে ছোট হরিণা বাজারের উত্তর পাশে ফয়সাল বেকারী নামক একটি বেকারীর দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। স্থানীয় দোকানদাররা বেশিরভাগ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকার কারণে দ্রুত আগুন আশেপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া কিছু দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিষ্ফোরণের কারণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে অতিদ্রুত চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মনসুর আলী ও আবু আহমেদ সওদাগর। সীমান্তবর্তী এলাকার বাজার হবার কারণে তারা প্রায় কোটি টাকার মালামাল ও পণ্য মজুদ রাখেন। আগুনে সেসব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহত হননি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন- অগ্নিকান্ডে ২৩টি দোকান, ৫টি বসত বাড়ি ও দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে ৫কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়িয়েছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বরকল উপজেলা প্রশাসন। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক দোকানদার ও পরিবারকে ৩ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ।