[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
আইডিইবি কাপ্তাই সাংগঠনিক জেলা নির্বাহী কমিটি সম্মেলন অনুষ্ঠিতরাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে গড়েউঠা করাতকলে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চলের গাছরাঙ্গামাটিতে গুর্খা সম্প্রদায়ের ‘ভৈল-ঢেওসি’ উৎসবকাপ্তাইস্থ রাইখালীর দূর্গম ভালুকিয়া গ্রামে ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পিংলংগদুতে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভাস্ত্রী’র পরকীয়ার জেরে মাটিরাঙ্গায় স্বামীর আত্মহত্যাহাইব্রিডের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় জাতের ধানঅগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়ন ও সিন্দুকছড়ি জোনগুইমারায় ওয়াদুদ ভুইয়ার পক্ষে গণসংযোগ ও বিএনপির ৩১ দফা প্রচারখাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা ও পৌর মহিলা দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আলীকদমে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ বেতের কারুশিল্পের কাজ

৭১

॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম ॥

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্প। বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা গৃহস্থালি, কৃষি পন্য পরিবহন ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ বাঁশের শিল্পটি। এক সময় বিভিন্ন বাসা-বাড়ি,অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়া এই বাঁশ শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজারগুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এলুম্যোনিয়ামের আসবাবপত্র। দেখা মিলে না আর বাঁশের তৈরির আসবাবপত্র । তাছাড়াও প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর।

আলীকদমে এক সময় বিস্তীর্ণ পাহাড়ী জনপদে ম্রো, চাকমা,তঞ্চঙ্গ্যা,মার্মা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীরা বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি করতো গৃহস্থালী ও সৌখিন পণ্যসামগ্রী। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবনযাপন তেমনি তারা জুমের ফসল পরিবহন কাজে ব্যবহার করতো বাঁশ দিয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁড়ি গুলো। তবে এখনো মাঝে মধ্যে দেখা যায় পাহাড়ী গ্রাম গুলোতে বাঁশ ও বেত জাত শিল্পীদের তৈরি খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে নানা ধরণের জিনিস।

যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এসব পণ্য পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার! যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশ-বেতের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে।

উপজেলার বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা অভিরাম ত্রিপুরা বলেন, ২০ বছর থেকে আমি এই কাজের সাথে জড়িত। বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার বেত শিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে এ পেশা বদলে অন্য পেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা। তাদের তৈরি কিছু পণ্য গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে ঘোরাফেরা করলে কিছু সৌখিন মানুষরা তাদের পণ্য কিনেন। বেলা শেষে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তয়-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা।