[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

করোনা থেকে মুক্তি ও মঙ্গল কামনায় রাঙ্গামাটিতে পালিত হলো বৌদ্ধ পূর্ণিমা

৫৭

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

করোনা মহামারি থেকে মুক্তির আশায় ও বিশে^র মঙ্গল কামনায় রাঙ্গামাটিতে সীমিত পরিসরে পালিত হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা।

বুধবার (২৬ মে) সকালে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর নর-নারী, দায়ক-দায়িকা, উপ-উপাসীকাবৃন্দ বুদ্ধ প্রতিবিম্ব দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার (ভিক্ষুগণের নিত্য ব্যবহার্য ৮টি উপকরণ) দান, প্রদীপ দান, পিণ্ডদান সহ নানাবিধ পুণ্যযজ্ঞ সম্পাদান করার মাধ্যমে এ উৎসব পালিত হয়। এসময় বিহারের সমবেত হয়ে পঞ্চশীল গ্রহণ এবং দেশ ও জাতীর উদ্দেশ্যে মঙ্গল কামনা করেন। পাশাপাশি বিশ্বের মহামারি করোনা ভাইরাসে মুক্তি লাভের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এসময় বনভান্তের শিষ্যসংঘের প্রধান ও রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথের সংঘপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, শ্রদ্ধেয় জ্ঞানপ্রিয় মহাথের, ভদ্দীয় ভিক্ষু, সত্যানন্দ থের, বুদ্ধপ্রিয় ভিক্ষু, শুভ প্রিয় ভিক্ষু প্রমুখ গুণোত্তম ভিক্ষসংঘ,উপাসক-উপাসিক কার্য-নির্বাহী পরিষদ সভাপতি উপাসক গৌতম দেওয়ান ও বন বিহারের পৃষ্ঠপোষক ও প্রাক্তন উপমন্ত্রী উপাসক মনিস্বপন দেওয়ান প্রমূখ।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালন করলেও এবারে করোনাভাইরাসে কারণে অনুষ্ঠানমালা সীমিত পরিসরে করেছি। শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া জনসমাগম হয় এসব অনুষ্ঠানমালা বর্জন করা হয়েছে। বক্তরা আরো বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে নেপালের লুম্বিনীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ রাতেই তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায় বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন। এ ছাড়াও, তার মৃত্যু হয়েছিল এ রাতেই। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ও বলা হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক র্গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এই ত্রি-স্মৃতিবিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমা। তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়। বুদ্ধ ধর্ম মতে, গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম বোধীজ্ঞান লাভ ও মহা পরিনির্বাণ লাভসহ এই ত্রিস্মৃতি বিজরিত বৈশাখি পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব আমেজ। দেশের সব বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এটি বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখি পূর্ণিমা নামে পরিচিত।
আজ থেকে ২ হাজার ৫৫৭ বছর পূর্বে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আর্বিভূূত হয়েছিলেন। তার জন্ম বোধিলাভ ও মহাপ্রয়ান বৈশাখি পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর বৈশাখি পূর্ণিমা। এ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারের পালন করে থাকেন ধর্মীয় উৎসব।