রাঙ্গামাটিতে জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভা
‘কাপ্তাই হ্রদ ও নদীগুলোর জরুরীভাবে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করতে হবে’
॥নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কাপ্তাই হ্রদ ও উপজেলার নদীগুলোর জরুরীভাবে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। কিভাবে হ্রদকে দূষণমুক্ত রাখা যায় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং হ্রদকে দখল মুক্ত করতে নদী রক্ষা কমিটি জরুরী ভাবে হ্রদের সীমানা প্রাচীর চিহ্নিত করতে পারলে হ্রদের অবৈধ স্থাপনা ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৯ মে) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত কাপ্তাই হ্রদ দখল, দূষণমুক্ত,হ্রদের সীমানা নির্ধারণ,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ড্রেজিং নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, নদী রক্ষা কমিটির সদস্য ও প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রুহুল আমিন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম,পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী,মৎস্য কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা উপমা প্রমূখ।
বক্তারা আরো বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে বিদায়ী জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের আমলে নদী রক্ষা কমিটির সভায় যে সকল সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা আজ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। অনেকে আবেগ বশতঃ বলেছেন সভা সমাবেশ করে কি লাভ যদি তার বাস্তবায়ন না হয়। গত সভায় নদীর জীব বৈচিত্র রক্ষা, নদীর নব্যতা বৃদ্ধির জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদ পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। এসব বিষয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গত মার্চ মাসে তিনি এ জেলায় যোগদান করেন। ইতিমধ্যে হ্রদের বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা ও হয়েছে। আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেবেন। কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে সকলের সমন্বয়ে আগামীতে কাজ করবো।