[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কথা হইলো ডাক্তার-ই যদি নাই থাকে তয় রোগ লইয়া খালি বিছানায় শুইয়া থাকিলে কি হইবে, চিন্তায় আছি…অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু আমরা চাই না, পর্যটকদের সচেতন করা জরুরীখাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩ বিজিবির নানামুখী সহায়তাএলডিপি রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমল বিকাশবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত-১কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার সাম্বার হরিণটি মারা গেলকাঁচামালের উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএম এর সক্ষমতাকে বাড়াতে হবে-শিল্প উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইয়াবাসহ ৩যুবক আটকদীঘিনালায় কৃষকদের মাঝে আমন ধান বীজ ও সার বিতরণবান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আবারো স্থলমাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের আলীকদমে দু’সময়ে পানি দান করছেন ওমর ফারুক

১০৪

॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,আলীকদম ॥

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড হইতে ৫ নং ওয়ার্ডের লোকজন ব্যবহারের পানি ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে থাকা মানুষ গুলোকে পানি দান করছেন মোঃ ওমর ফারুক নামে এক ব্যাক্তি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় স্থাপিত বেশির ভাগ রিংওয়েল এবং টিউবওয়েল গুলো চৈত্র মাস ও বৈশাখ মাস আসলে শুকিয়ে যায়। তেমনি আলীকদমের নদী, ঝিরি গুলোও শুকিয়ে গেছে, যার কারণ হলো ঝিরি গুলো থেকে একটি অসাধু চক্র নির্বিচারে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন এর ফলে ঝিরি ছড়া গুলো আগের মত স্বচ্ছ পানি ধরে রাখতে পারছে না,যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে নদী বা ঝিরির ধারে অবস্থিত পাহাড় গুলো ধ্বংসে পড়ে নদী ও ছড়া গুলো ভরাট হয়ে যায় তখন শুকানো মৌসুমে পানির সংকটে পরে উপজেলার মানুষ গুলো।

পানবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক এই মহা দুর্ভোগের সময় নিজস্ব পরিবহন নিয়ে ৩ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ গাজী ট্যাং নিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল ২ বার করে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও মসজিদে পানি পৌঁছে দিচ্ছেন। উপজেলার যেখানেই পানির সংকট সেখানেই পৌঁছে দিচ্ছেন পানি। বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই মানুষের ঘরে ঘরে পানি দিচ্ছেন উমর ফারুক।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলীকদমের পানবাজার, সিলেটি পাড়া, পাহাড়তলী পাড়া, আবুমাঝি পাড়া, কলারঝিরি পাড়া, আমতলী পাড়া, হাফেজের দোকান, আলী বাজার, পূর্ব পালং পাড়া, চম্পট পাড়া, আমতলী তঞ্চঙ্গ্যাঁ পাড়া, আশ্রয় ক্যাম্প এলাকা সহ বিভিন্ন এলকায় পানি সংকটাপন্ন হওয়ার পর থেকে তিনি বিশুদ্ধ খাবার পানি দিয়ে আসছেন।

আলীকদম পানবাজার এলাকার সুজন চৌধুরী এবং রিপন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আলীকদম উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর দেয়া টিউবওয়েল ও রিংওয়েল গুলো শুকনো মৌসুমে অকেজো হয়ে যায়। যার কারণে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও নিত্য দিনের ব্যবহার পানির সংকট দেখা দেয়। আলীকদম উত্তপালং পাড়ার ইয়াছমিন আক্তার ও সাবেকু ন্নাহার বেগম বলেন, এলাকায় তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আশে পাশে কোন নদী ছড়া না থাকার কারণে ৩০ মিনিট সময় ধরে পায়ে হেটে বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ ব্যবহারের পানি আনতে হয়।

ওমর ফারুক বলেন, মানবিকতায় বড় কিছু এবং মানুষের উপকার করতে পারলেই নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে মনে হয়। পানির এই সংকটাপন্ন মুহুর্তে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাঝে কোনো উদ্যোগ দেখা নেই। আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিজস্ব খরচে যেখানে পানির সংকট সেখানে আমার লোকজন গিয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও নিত্য দিনের ব্যবহারের পানি পৌঁছে দিয়ে আসছে। উপজেলার যে সমস্ত রিংওয়েল ও টিউবওয়েল গুলো আছে সেগুলো মেরামত করে দিলে আলীকদম উপজেলায় তেমন পানির সংকট হবে না।