নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পানির সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিভাগ
।। মোঃ মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি ।।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দীর্ঘদিন ধরে। একদিকে পবিত্র মাহে রমজান অনদিকে প্রচন্ড এ গরমে চতুর দিকে খাবার পানির জন্য হাহাকার করছে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ। এই শুষ্ক মৌসুমে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বহু নলকূপ অচল হয়ে পড়েছে। গরমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক পুকুর, লেক ও ছড়া থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। মানুষের এমন দূর্ভোগের জন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত তদারকি এবং অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে স্থানীয় সচেতন মহল।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, বাইশারী, দৌছড়ি, ঘুমধুম ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পূর্বে স্থাপন করা রিংওয়েল ও টিউবওয়েল অচল হওয়ায় নারী ও শিশুদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদু ছালাম জানান, এই এলাকার মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য একমাত্র লেকের পানির উপর ভরসা করতে হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে লাইনে পানি নেই। এছাড়া সুপেয় পানির তীব্র সংকট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পানি সংকট দূরীকরণে প্রতি ইউনিয়নে ২৬টি করে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থ বছরে মোট ২৬০টি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ’র কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন পাহাড়ের পানির সমস্যা নিরসনের জন্য সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যমে প্রায় ১৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। শিগগিরই মন্ত্রী বীর বাহাদুর, এমপি এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন । এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নাইক্ষ্যংছড়িবাসীর পানি সমস্যা আশা করি অনেকটা নিরসন হবে। উল্লেখ্য গত ১৭ মে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ পানি সংকট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে স্থান পরিদর্শন করেন।
জনস্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি নলকূপ ৪০০ ফুট গভীরতা করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, ইতোপূর্বেকার রিংওয়েল ও টিউবওয়েলে পানি নেই অনেক আগে থেকে। এরে মধ্যে চলমান গভীর নলকূপেও অনেক জায়গায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নাইক্ষ্যংছড়িবাসীর দীর্ঘদিনের এ সমস্যা নিরসনে সরকারি ভাবে বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য বিভাগ ।