[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কুমিল্লা হতে অপহরণ, লামায় লাশ উদ্ধার

মুক্তিপণ না পেয়ে খুন, ২৫ দিন পর লামায় লাশ উদ্ধার

৫৬

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লা থেকে বান্দরবানের লামা উপজেলায় এনে জিম্মি করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, টাকা না পেয়ে এক কোরআনের হাফেজকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনীরা হত্যার ঘটনাটি লুকাতে লাশ মাটি চাপা দেয়, ২৫ দিন পর মাটির নিচ থেকে নিহত হাফেজ মোঃ অলি উল্লাহ স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করে লামা থানা পুলিশ।

নৃশংস এই হত্যার ঘটনা ঘটে বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শিং ঝিরি এলাকায়। এই ঘটনায় লামা থানা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেত ঝিরি হতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মুল দুই আসামী ফয়েজ আহমদ (৩৮) ও মোঃ আরিফুল ইসলাম (১৭) কে আটক করে। আটক আসামীদের দেয়া তথ্য মতে বুধবার (২১ এপ্রিল ২০২১ইং) রাত ২টায় অভিযান চালিয়ে খুনের ২৫ দিন পরে মাটির নিচ থেকে নিহত হাফেজ স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করে লামা থানা।

নৃশংসভাবে খুন হওয়া হাফেজ মোঃ অলি উল্লাহ স্বাধীন (১৭) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মোঃ মোবারক হোসেন ও লুৎফা বেগমের ছেলে। খুনের ঘটনায় আটক দুই আসামী হল, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার খারাতাইয়া গ্রামের আব্দুল মালেক এর ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমদ (৩৮) ও নিহতের আপন ফুফাতো ভাই কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মৃত মোঃ আব্দুল গণি খাঁ এর ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম (১৭)।

নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল (২৪) বলেন, গত ২২ মার্চ ২০২১ইং ছোট ভাই হাফেজ স্বাধীন তার ফুফাতো ভাই মোঃ আরিফুল ইসলাম এর সাথে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কয়েকদিন যাবৎ ছোট ভাইয়ের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে আমরা গত ২৪ মার্চ ২০২১ইং কুমিল্লার বুড়িচং থানায় হারানোর জিডি করে। জিডির সূত্র ধরে তার মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং করে মঙ্গলবার লামা থানায় আসি। আমাদের দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লামা থানা পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী ফয়েজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামকে সন্দেহভাজন হিসাবে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেত ঝিরি ফয়েজ আহমদের শশুড় বাড়ি থেকে তাদের আটক করে। ফয়েজ আহমদ বেত ঝিরি এলাকার ইউনুচ মোল্লার মেয়ের জামাই।

তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। আসামীদের দেয়া তথ্য মতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় অভিযানে বের হয় লামা থানা। রাত ১টায় আসামী ও নিহতের দুইভাইকে সাথে নিয়ে খুনের ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লামা থানা পুলিশ। আসামীদের দেখানো স্থান রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শিং ঝিরিস্থ পাহাড়ের উপরে রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে নিহত হাফেজ স্বাধীন এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তার সাথে অভিযানে অংশ নেন লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ মাহমুদ, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ আলমগীর, পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ রাশেদ, আশ্রাফুল ইসলাম, ত্রিদীপ বড়ুয়া, মোঃ ফরিদ, রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু তাহের সহ লামা থানা পুলিশের অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আসামীদের দেয়া তথ্য মতে ও তাদের দেখানো স্থানে মাটি খুঁড়ে আমরা নিহত হাফেজ স্বাধীন এর লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। লাশটি যে হাফেজ মোঃ অলি উল্লাহ স্বাধীনের বলে তার বড় দুই ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল ও মোঃ জিলানী বাবু নিশ্চিত করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দীর্ঘদিন হওয়ায় লাশ অনেকাংশ পঁচে গলে গেছে।

তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল বাদী হয়ে হত্যা ও অপহরণের অভিযোগ এনে লামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শীঘ্রই আটক দুই আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।