॥ আবুল হাসেম,মাটিরাঙ্গা ॥
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার রামশিরায় জাহাঙ্গীর নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে প্রকাশ্যে মারধর করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। সে মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়নের আদর্শপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে।
ঘটনাটি গত ১৬ তারিখ শুক্রবার বিকালে সংগঠিত হলেও গতকাল (২০এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর মাটিরাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণে প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর জানান,ওই দিন ইফতারের আগ মুহুর্তে রামশিরা বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাজী ইউনুছের দোকানে ইফতারের প্রস্তুুতি নিচ্ছিল সে।একই সময়ে একটি মটর সাইকেলে মামুন এবং ফারুক পারিবাবারিক দ্বন্ধের জের ধরে ইউনুসের দোকানে এসে তার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়,সম্পর্কে তারা উভয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর বড় ভাই হয়। তারা উভয়ে তাকে খুব মারধর করে মাথায় প্রছন্ড রকমের জখম হয় এবং বাঁ হাতটি ভেঙ্গে যায়। জাহাঙ্গীর আরো বলেন,এছাড়াও তারা একাধিকবার মোবাইলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। অনেক বছর পূর্বে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। তারা তাকে দূর্বল পেয়ে তাদের ইচ্চামতো মারধর করে ফলে ঘটনাস্থলেই সে সজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। এলাকার লোকজন এবং তার পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে মাটিরাঙ্গা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হবার দরুন কর্তব্যরত ডাঃ তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্ররণ করে।
বাড়ি খালি পেয়ে উক্তব্যাক্তিগণ তার বাড়িতে এসেও হামলা চালায় একই সাথে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে তার স্ত্রীকে তারা জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
জাহাঙ্গীরের বাবা আবু তাহের জানান,আমার ছেলের যদি কোন অন্যায় থাকতো তাহলে তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতো কিন্তু তারা তাকে প্রতিবন্ধী জেনে দূর্বল ভেবে হত্যার উদ্যেশ্যে বেশ মারধর করেছে। ছেলের এহেন আহতের ঘটনার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান,একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে এভাবে মারধর করা ঠিক নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া উচিত নয় । এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন বলে তিনি জানান।