[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আলীকদমে ১৫ বছরেও বাস্তবায়ন হয় নাই ১৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ

৫০

॥ আলীকদম উপজেলা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ি দাে’ছড়ি সড়কের কাজ ১৫ বছর আগে শুরু হলেও এখনোও শেষ করতে পারেন নাই ঠিকাদার । আলীকদম হতে মাত্র ১৩ কিলোমিটার সড়ক বাস্তবায়ন করতে পরিয়ে গেল দীর্ঘ ১৫ বছর। পাহাড়ে বসবাসরত ৬ টি পাড়ার মানুষ এই সড়কর মাধ্যমে নিজেদের জীবনযাত্রা,আয়-রোজগারের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখলেও তা এখনও অধরা রয়ে গেছে। হবে নাগাদ এই সড়ক চলাচলের উপযােগী হবে তা সঠিক ভাবে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দো’ছড়ি অংশের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়।

আলীকদম উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়,সিএইচটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ৯ কিলােমিটার এইচবিবি সড়ক করা হয়,পরবর্তীত ২০১৬ সালে ১ কাটি ৭ লক্ষ ২৯ হাজার টাকায় নয়াপাড়া- বাবুপাড়া সংযােগ সড়ক থেকে বিজিবি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ হয়। পাঁচ বছর পর বাকী ১১ কিলামিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের জন্য ২৮ কাটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নয়াপাড়া-বাবু পাড়া সংযােগ সড়ক হতে বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত কার্পেটিং সম্পন্ন হলেও বিজিবি ক্যাম্প হতে মুরুং ঝিড়ি পাহাড়ের আগ পর্যন্ত ৯ কিলামিটার পুরাতন এইচবিবি সড়ক দৃশ্যমান। সংস্কার ও যোগাযোগের অনুপযোগী হওয়ায় এই সড়কের দুইপাশে ও সড়কের উপর নানা প্রজাতির গাছপালায় জঙ্গলে পরিনত হয়েছে। বিভিন্ন অংশে রাস্তার উপর পাহাড়ের মাটি ধ্বসে পড়েছে, কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙ্গে খাদে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সড়কের অবস্থা এত শোচনীয় যার দরুন পায়ে হেটে যাওয়া দুস্কর।

লাল ম্রো পাড়ার কয়েক জন স্থানীয় ব্যাক্তিরা বলেন,সড়কটি চলাচলের উপযোগী হতে আরও কত বছর লাগবে আমরা জানিনা। সড়কটি হলে ব্যবসা বানিজ্য,কর্মসংস্থান,শিক্ষা সব ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার হত। কিন্তু অনেক দিন ধরে হবে হবে শুনছি রাস্তার কাজ হচ্ছে না সড়কটি। সড়কটি হলে সদরের সাথে দূর্গম পাড়া গুলোর যোগাযোগ সহজ হবে।সড়কটি না হওয়ার পিছনে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

৩নং নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফােগ্য মার্মা বলেন, সড়কটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পরিমাপ করা হয়েছে। কিন্তু কেন হচ্ছে না বুঝতে পারছিনা। সড়কটি হলে আলীকদম থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি হয়ে কক্সাবাজার যাওয়া সহজ হবে। পর্যটকরা একসাথে পাহাড় ও সমুদ্র দেখার সুযোগ পাবে। কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে সড়কটির কাজ শেষ হচ্ছে না এমনটা জানান।

আলীকদম উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ আহসান জানান,সড়কের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে ৫টি স্কীমে ২৮ কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গেছে। আশা করছি এক বছরের মধ্যে কাজের দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাবে। তিনি আরও জানান,পূর্বে বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত ২ কিলোমিটার করা হয়েছে,এখন বিজিবি ক্যাম্প থেকে ১১ কিলামিটার সড়ক কার্পেটিং করা হবে।

এদিকে বান্দরবান জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এনএসএম জিললুর রহমান জানান,পারফরম্যান্স সিকিউরিটি পেয়েছি,ঠিকাদারদের সাথে চুক্তি পরে এক বছর তিন মাস কাজের মেয়াদ থাকবে। সিএইচটি-১ এর প্রকল্প শেষ হওয়ায় সড়কের কাজ শেষ করা যায়নি,নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কের অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করা হবে।