বান্দরবানে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
॥ আকাশ মার্মা মংসিং বান্দরবান ॥
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে সারাদেশেসহ বান্দরবানে পালিত হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন’। সারাদেশেসহ পার্বত্য জেলা বান্দরবান শহরেও কার্যকরে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে সর্বাত্মক লকডাউনেও ঘরের বাইরে অনেক মানুষকে বের হতে দেখা গেছে।
বুধবার (১৪এপ্রিল) সকালে জেলা শহরে ট্রাফিক মোড়, বালাঘাটা, রাজার মাঠ, উজানী পাড়া, বাসষ্ট্যান্ড ও কালাঘাটা ইত্যাদি মুল পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় পুলিশ কড়া নজদারী ও টহল চলছে রাস্তায়। চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। জরুরী সেবার জন্য যারা বের হয়েছেন তাদের চেকপোস্ট পার হবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অযথা বের হবার কারণে অনেককেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে মুভেমন্ট পাসে দেখিয়ে অনেককেই চলাচল করছেন।
এইদিকে সরকারে গণ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, রমজানের শুরুর দিনে কঠোর লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হলেই পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই নানা ছুঁতোয় ঘর থেকে বের হয়ে পার পাচ্ছে না কেউ। সরকার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন—কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন—এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।
এই দিকে ২য় দফায় লকডাউন কারনে দুরপাল্লা গণপরিবহন গুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে । এমনকি সকল টিকেট কাউন্টার তালাবদ্ধ দেখা যায় । সকাল হতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরে বাইরে তেমন কাউকে দেখা যায়নি। তবে এলাকা ও মহল্লায় গুলো লকডাউনে কারনে স্থবিরতা দেখা যায়। এক এলাকায় হতে অন্য এলাকায় মানুষ প্রবেশ পথ আটকে রেখেছে গ্রামবাসীরা। তবে নিজ নিজ গ্রামে ভেতর ঘরোয়া পরিবেশে পালন করা হচ্ছে মার্মা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই পোয়েঃ নববর্ষ উৎসব।
এই দিকে গত ৩১ মার্চ বান্দরবান জেলা প্রশাসকে গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলায় সকল পর্যটককেন্দ্র ১৪ দিন ও সেই সাথে হোটেলগুলো বন্ধের রাখার নির্দেশ দেন। সেই সাথে সরকার ১৪ তারিখ হতে কঠোর সর্বাত্বক লকডাউন জারি করার কারণে বান্দরবান পার্বত্য জেলা শহরে বন্ধ রয়েছে সকল পণ্য ও প্রতিষ্ঠানসহ যানবাহনও।
এইদিকে সর্বাত্বক লকডাউন কার্যকর করতে বান্দরবান সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে সরকার নির্দেশনুযায়ী আমরা শহরে বিভিন্ন পয়েন্ট অবস্থান করছি। শহরে অলিগলিতে চলছে টহল। জনসাধারণ যাতে প্রয়োজনে বের হতে না পারে সেই কঠোর নজরদারী করছে।