করোনা-১৯ প্রতিরোধে ২য় চ্যালেঞ্জও কাটিয়ে উঠতেই হবে
করোনা সংক্রম এড়াতে সরকার দেশের মানুষকে বাঁচাতে ব্যতিব্যস্ত। শীতের এই মৌসুমকে করোনা সংক্রমনের বড় কারন হতে পারে বলে সরকার আগাম সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি জেলা উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনসৃংখলাবাহিনীর সদস্যরাও জনসাধারনকে সাবধানতা অবলম্বনে কাজ করে যাচ্ছেন। এর পরও যেন ভয় ভয় ভাব। এবারে শীত এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যথই শীত বাড়ছে ততই মানুষের মাঝে আতঙ্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এবারের এই চ্যালেঞ্জতো কাটিয়ে উঠতেই হবে। বিস্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রমন এড়াতে প্রথম কাজ হলো ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পড়তেই হবে।
দেখা যায়, তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটির মানুষ যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করছে। এর পরও শহরের বেশ কিছু এলাকায়, বাজারে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাদের দেখা অনেকে না পড়ার উৎসাহ পাচ্ছে বলে অনেকে আপতিত্ত করছেন। আবার বান্দরবান জেলা শহরে দেখা গেছে মানুষ মাস্ক না পড়েই যত্রতত্র চলাফেরা করছে। হাট বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট এবং পরিবহনেও মাস্ক পড়তে সংখায় কমই চোখে পড়েছে। প্রশাসনের তৎপড়তা থাকা সত্তেও অনেকে তা মানছেন না। ফলে সেখানে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে যারা নিয়ম অমান্য করে চলেছে। অপর দিকে খাগড়াছড়ি শহর এবং বেশ কিছু উপজেলাতেও মাস্ক না পড়ে যে যার মতন করে চলছে বলে অনেকেরই অভিযোগ। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন যথেষ্ট সচেতন হলেও অনেকে এড়িয়ে চলছে। সম্প্রতি বেশ কটি উপজেলাতে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা রীতিমতন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাস্ক না পড়াদের অর্থ জরিমনাসহ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণও করছে।
দেখা যায় এবারের শীতে মানুষ আগাম বর্তা পাচ্ছেন করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে। প্রশাসনও এই শীতে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস্ক ছাড়া কাউকেই ঘর থেকে বেড় না হতে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিটি অফিস আদালতে মাস্ক ছাড়া সেবা নাই বলে প্রচার চালাচ্ছেন। তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যেক উপজলাতেও প্রশাসন কঠোর ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে করোনা প্রতিরোধে এবং সংক্রমন এড়াতে। তাই প্রশাসন এ বিষয়ে আন্তরিকতার কমতেই নেই। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের এ প্রচেষ্টাকে সফল করতে জনপতিনিধিদেরও ্কাগ্রচিত্তে এগিয়ে আসতে হবে। যেখানে মানুষ মাস্ক ছাড়া নানা ভাবে ঘোফেরা এবং অফিস আদালতে প্রবেশ করছে তাদেরকে সচেতন করতে একযোগে কাজ করতে হবে। করোনা প্রতিরোধে শুধু মাস্ক নয় আরো যেসব কাজ প্রয়োজন তাও করতে এগিয়ে আসতে হবে। এই শীতে প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে এটি হলো দ্বিতীয় সংক্রমনের মৌসুম। সরকার সব দিক দিয়েই প্রস্তুত হলেও সফলতা নির্ভর করছে সাধারণ জনগনের সচেতনতার জন্য। তাই মাস্ক পড়তে হবে অন্যকেও পড়াতে উৎসাহ থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে যেমনি সচেতনার জন্য প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে । সেই সাথে স্থানীয় জনসাধারনকেও করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সকল নিয়ম পালন করতে এবং বাধ্য করাতে কঠোর হতেই হবে।