[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লাট্টালাট্টির সংবাদ সংগ্রহ করিতে যাইয়া উল্টো মামলার আসামী হইয়াছেন সাংবাদিক জেঠা

১২৬

ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। এই শীতে কোভিট-১৯ তো কষিয়া চালাইলেও এইবার আমাগো শেখ হাসিনা জেঠি ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপয়া ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া যাইতেছে। পৃথিবীর লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা ক্রমান্বয়ে লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে কঠোর দমন নাই, নিপীড়ন, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি অভিযোগ-অভিযোগ। আমি জেঠাও শাররীক মানসিক অর্থনৈতিক বেকায়দায়, শক্ত করিয়া কলমও ধরিতে পারিতেছিনা। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। ভাইপো-রে বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….

ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। এত সেবা করিতে হইলে জেঠার অবস্থাটা কে দেখিবে। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি হইয়া পড়ে। পাহাড় পর্বতের খেটে খাওয়া মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের খবর হ¹ল জেঠাগোর নিকট উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। নতুন করিয়া বিশে^র ভাইরাস করোনাতো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। খালি ধরে আর মারে। মরিলে নাকি ছুইতেও পারে না। মানুষের দেহে থাকা ভাইরাসগুলোর মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং আপাতত বরবাদ। যত নষ্টের মূল হইলো করোনা-১৯। বেকার এই ছোট্ট জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, খালি বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড় নদী নালা দেখিবো। আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি…

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে আর স্বাধীনতার রজতজয়ন্তিতে এদেশের হ¹ল জেঠা-জেঠিরা নতশিরে শ্রদ্ধা জানাইয়াছেন বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজিবী ও বীরাঙ্গণাদের। আমাগো দেশের প্রশংসায় পঞ্চমূখে পরিণত করিয়াছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রধানরা। কথা হইলো মুজিবর্ষ ও স্বাধীনতার রজতজয়ন্তিতে আমাগো দেশের জাতিরে শপথ নিতে হইবে দেশ গড়ার কাজে মুষ্টিবদ্ধ হইতে, চিন্তায় আছি…

আমাগো পাহাড়ি দাদু কহিলো, স্বাধীন বাংলাদেশ আর নেতারে চিনিতে হইলে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়িতে হইবে। হিংশ্র জানোয়ারদের কবল হইতে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধারা কিভাবে দেশের স্বাধীনতা আনিয়াছেন। দেশের শত্রুরাতো উঁৎপাতিয়া কারে কখন কিভাবে লটকাইবে পটকাইবে হেই হিসাব লইয়া চক্রান্ত চালাইয়াই যাইতেছে। দেশ গড়ার কাজে হ¹লকেই একজোট হইতে হইবে, চিন্তায় আছি…

মনি জেঠা কহিলো রাঙ্গামাটির কতোয়ালী থানায় মিথ্যা মামলার আসামী হইয়াইয়াছেন আমাগো সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় সম্পাদক ও প্রকাশক এবং রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব এর সহ-সভাপতি মিলটন জেঠা। ৭নম্বর আসামী করিয়া এই অভাগা পোড়াকপইল্লারে লুটেরা হোমড়াচোমড়াগোর ইন্ধনে এই মিথ্যা কাইজ কাম করিতেছে। এইসব লইয়া আমাগো সাংবাদিক জেঠারাও ধীরে ধীরে চেতিতেছে। মিলটন জেটা কহিলো শহরের চম্পক নগর এলাকায় মারামারি লাট্টালাট্টির সংবাদ সংগ্রহ করিতে যাইয়া উল্টো মামলার আসামী হইয়াছেন সাংবাদিক জেঠা। তাইনে বাদী পক্ষরে চেনেও না জানেও না। চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জের বাসিন্দা বহিরাগত নিহার কান্তি দাশ নামের জেঠা এই মামলা টুকাইয়াছে থানায়। ঐ এলাকার জেঠা জেঠিরা কহিলো নিহার কান্তি দাশ রাজনৈতিক হোমড়াচোমড়াদের ব্যবহার করিয়া নিজের জায়গা দাবি করিয়া দুই অসহায় পরিবারকে দীর্ঘ বছর নানান কিছিমের মামলা দিয়া ফতুর বানাইতেছে। অসহায়রা প্রশাসনের সাহার্যও পাইতেছেনা বলিয়া দাবি করিতেছে। যা মনে হইতেছে জোর জার মুল্লুকতারই হইতেছে, চিন্তায় আছি…

চাই জেটা কহিলো, খাগড়াছড়ি ওরাঙ্গামাটির ৬টি গুদানে খাদশষ্য চাইল পরিবহন বন্ধ থাকার কারনে পাহাড়ের গুচ্ছগ্রামের মানুষ ভাতের চিন্তায় পরিয়াছে। সন্ত্রাসীগোর চাঁদাবাজী নানান কিচিমের হয়রানির কারনে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা খাদ্য পরিবহন করিতে পারিতেছে না বলিয়া জানাইয়াছেন। এই সব লইয়া গুচ্ছগ্রামবাসীগোর মধ্যে ক্ষোভের দানা বাঁধিতেছে হুট করিয়া লাগিয়া বসিলে কে কখুন ফানা হইয়া বসে, চিন্তায় আছি…

ইসমালই জেটা কহিলো, স্বপ্নের দুই মানুষ খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এক পরী পারং খাট বানাইয়া ফেইসবুকে আর সংবাদে এখন বাইরাল। নুরন্নবী ও কাঞ্চন জেঠার তৈরী করা মহা রাজকীয় এই পরী পালং খাট দেখিতে তাইনেগোর বাসাবাড়ির উঠোনে জড়ো হইতেছে বহুত জেঠা জেঠি। তয় নুরন্নবী ও কাঞ্চন জেঠা কোটি টাকায় কাট বিক্রি করিতে রাজি আবার বিক্রির কিছু অংশ (টাকা) দরিদ্রদের জন্য প্রধানমুন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেও দিতে চায়। আমাগো রাজধানীর এক জেঠা নাকি এই খাট ৭০ লক্ষ টাকায় কিনিতে প্রস্তাব করিয়াছে। যাউ¹া কথা হইলো স্বপ্ন থাকিলে নিজের মনের ভালা ইচ্ছাও পূরণ হয়। বঙ্গবন্ধু এই দেশের মানুষের মুক্তির জইন্য স্বপ্নে বিভোর আছিল তাই আইজকার এই স্বাধীন বাংলাদেশ গড়িয়াছেন আমাগো মুক্তিযোদ্ধা আর দেশে কুটি কুটি জেঠা জেটিরে লইয়া। তয় কেউ যাহাতে স্বপ্ন ভঙ্গ করিতে না পারে তার দিকেও খেয়াল রাখিতে হইবে, চিন্তায় আছি…

মার্মা জেঠা কহিলো, গত এক দশকে খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পাহড়ে ভুমি খেকোদের অত্যাচারে অন্তত শতের অধিক পাহাড় সমতলে পরিণত করিয়াছে। বন-বনানী ধ্বংস করিয়াছে। এই পাহাড়ি জেলার ৯ উপজেলায় এই আকাম হইয়া গিয়াছে। পাহাড় পর্বত রক্ষণা বেকক্ষণের আইন থাকিলেও কাজের বেলা ফাঁকি জুঁকি থাকায় ভমি দস্যুরা টানাই এই আকামা চালাইয়াছে। কথা হইলো দেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাড়িতেই থাকিবে যা বাড়িয়া গিয়াছে তাও কমাইতে হইলে বন-বনানী, পাহাড় পর্বত ঠিক রাখিতে হইবে, চিন্তায় আছি…

আমাগো মাত্তাল লেদু জেঠা কহিলো অপক্ষমতার অধিকারীরাতো রাজনৈতিক লজুরবিত্তি করিয়া শহরের অসহায় জেঠা জেঠি বহুতেরে ছেঁচড়াইতে। বহুতের ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে। লেদু কহিলো গেল পাঁচ বছরের মইধ্যে বহু অলিগলির গর্তও, গর্তই। খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। চম্পক নগরের অসহায় এক জেঠির পরিবারের হ¹লরেই লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া রক্তও চুষিয়া যাইতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…

নগর জেঠা-জেঠিরা কহিলো এইবার নির্বাচনে তো জেএস এস এর প্রাথী নাই। বহুতেতো তাইনেগোরে পুজা করিতে নানান কিচিমের তরবারি ধরিতেছে। এইবার হইলো মজা। জেএসএস জেঠা-জেঠিগোরে রাজনৈতিক মাঠে যেই ভাবে ধোলাই করিয়া মাঠ হইতে বিতারণ করিতে চক্রান্ত হইয়াছে এখুনতো তাঁগোর দরকার পড়িয়াছে। তয় ক্ষমতার মায়া নদী পার হইতেতো হেলা ফেলার মাঝি মাল্লাও দরকার, চিন্তায় আছি…

ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….

ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
২৮মার্চ, ২০২১ খ্রিঃ