মুজিববর্ষে ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তিতে শপথ হোক দেশ গড়ার
স্বাধীনতার মাস মার্চ এক রক্তঝড়া মাস। স্বাধীনতাকামী এদেশের মানুষের উপর হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ণ, নির্যাতন এবং বাংলার ৩০ লক্ষ নিরীহ মানুষের উপর গুলি ও হত্যা মা-বোনদের সম্ভ্র্রমহানির মাস। এদেশর মানুষ জাতির পিতার আহ্বানে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকলে বন্দী বাংলার মানুষকে মুক্ত করার মাস। ৭১ এর ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ভাষণে এদেশের মানুষ অধিকার আদায়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম পরবর্তি মুক্তিযুদ্ধ বাংলার সকল আঁধারকে কেটে টগবগে যুবকের ন্যয় সোনার বাংলার সূর্যের উদয় হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর মুক্তিকামী বাংলার মানুষকে শিখিয়ে দেয় স্বাধীনতা অর্জনের মজবুত পথ। সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে সম্পূর্ন এক করে গর্জে ওঠেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজে বাংরার প্রত্যেক মানুষকে সংঘবদ্ধ করে বাপ হারা, মা হারা, সন্তান হারা, ভাই হারা, বোন হারা দুঃখের ব্যথা বুকে চেপে সোনার বাংলার উন্নয়নে নেমে পড়ে। তিনি ভঙ্গুর দেশের উন্নয়নে প্রত্যেক সেক্টরে সুনিপূন দিক নির্দেশনা দেন। কাঁধে কাঁধ মিলে দুহাতে দেশ গড়ার কাজের স্বপ্ন বেঁধে দেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্নকে বেশি দিন এগুতে দেয়নি এদেশের কুচক্রী মহল এবং পরাজিত শক্তি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে মুছে দিতে নেতৃত্ব শুন্য করে দিতে ৭৫ এ স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রদ্রোহী বেঈমানরা। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তাঁরই উত্তরাধিকারী আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু এবং এদেশের মুক্তিকামী মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশ গড়ার কাজে হাত দেন। বর্তমানে তাঁরই প্রজ্ঞা, মেধা বিচক্ষণ রাজনৈতিক আদর্শ দিয়ে তিনি এদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে আসছেন।
সোনার বাংলার মানুষের কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ বিদেশের রাষ্ট্র নায়করাও দেশের উন্নয়নে প্রশংসা সহ অধিকরতর উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের দুই হাতের সহযোগীতা নিয়ে দেশকে ডিজিটালে রূপান্তর করেছেন। বাংলার প্রতন্ত্য অঞ্চলের মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে এগিয়ে নিয়েছেন। মুজিবর্ষে সোনার বাংলায় ভুমি ও গৃহহীন হাজার হাজার পরিবারকে ভুমি সহ বাস গৃহ দিয়েছেন। দেশের আনাচে কানাচে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবাতেও উচ্চ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
এক সময়ে অপবাদ পাওয়া ঝুড়ির তলা বিহীন বাংলাদেশ এর ঐ অপবাদকে মুছে দিয়ে এখন উন্নয়ন শিখতে হলে বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনার কাছ থেকেই শিখতে বিশ্বের অনেক নেতারাও ছুটে আসছেন। এদেশের মানুষকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে দেশ উন্নত দেশে রূপান্তর করেছেন।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর স্বপ্নে সোনার বাংলার বুদ্ধিজিবী, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গণাদের আত্মত্যাগে বিনম্র শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানিয়ে অহংকারী মুক্তিকামী মানুষ স্বতস্ফুতভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষকে এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর রজতজয়ন্তিকে পালন করেছেন। আজকের আমাদের বাংলাদেশ বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসা এই দুটি উৎসব পালনে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, ব্রিটেনসহ আরো বহু ক্ষমতাধর রাষ্ট্র প্রধানরা বাংলাদেশের জনগন, রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান সরকারকে প্রশংসায় পঞ্চমূখে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশর এই অর্জন এবং সম্মানকে ধরে রাখতে হলে প্রত্যেককেই বঙ্গবন্ধুর মতো স্বপ্ন দেখতে হবে, বুদ্ধিজিবীদের মতো মজবুত জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে, মুক্তিযোদ্ধাদের মতো বলিষ্ট হতে হবে। তাই সোনর বাংলাকে বিম্ভের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে মুজিববর্ষে ও স্বাধীনতার রজত জয়ন্তিতে শপথ হোক দেশ গড়ার।