ড. এফ দীপংকর মহাথের এর ৪৯তম জন্ম দিন পালন
আমি যত দিন বেঁচে থাকবো আপনাদের উপর আমার ছায়া থাকবে
।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
দেব মানব পূজ্য ধুতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথের বলেছেন, অকূশল চিত্ত নিজের বা অন্যের দুঃখের উৎপত্তি ঘটায়। তাই অকূশল চিত্তের বোঝা নামাতে হবে ধর্ম দিয়ে। মানব মঙ্গলের জন্য সম্প্রদায়ের বেড়াও তুলে দিতে হবে। গত ২০ মার্চ রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীলস্থ ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে এলাকাবাসী, দায়ক-দায়িকা এবং সেবক-সেবিকা কতৃক আয়োজিত ড.এফ দীপংকর মহাথের এর ৪৯তম জন্ম দিন পালন অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনায় পূজনীয় ধুতাঙ্গ সাধক এ উপদেশ দেন।
দেব মানব পূজ্য ধুতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথের এর ৪৯তম জন্মদিন উদ্যাপন পরিষদ এর সভাপতি ডালমুণি তঞ্চঙ্গ্যা এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক বিদ্যা সগর তঞ্চঙ্গ্যা, ধুতাঙ্গ সাধক এর একনিষ্ঠ সেবক এবং সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় সম্পাদক ও প্রকাশক মিলটন বড়–য়া, চট্টগ্রাম জেলার অন্যতম দায়ক অনক বড়–য়া, শিক্ষক দুলাল কান্তি বড়–য়া। অনুষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করেন, সমতা তঞ্চঙ্গ্যা।
সত্যের উপর দন্ডায়মান সাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তেকে বন্দনা জানিয়ে ধম্মোউপদেশে ধুতাঙ্গ সাধক আরো বলেছেন, আমার সাধন জীবন বিলাইছড়ি ও জুরাইছড়ি থেকেই শুরু। আমি আপনাদের দেয়া দানা-পাানি গ্রহন করেছি। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞও এবং আমার সাধন জীবনে হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টানদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। দেশ ও জাতির কল্যাণে বিনয় এবং ধর্ম দিয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের কাছ থেকে আমি এত উপকার নিয়েছি এবং পেয়েছি অবশ্যই আপনাদের দুঃখ মুক্তির পথ সুগম হবে। সম্প্রদায়ের কল্যাণে, মানব মঙ্গলের জন্য সকল বেড়া তুলে দিতে হবে। আমি যত দিন বেঁচে থাকবো আপনাদের উপর আমার ছায়া থাকবে।
ধুতাঙ্গ সাধক এর একনিষ্ঠ সেবক এবং সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় সম্পাদক ও প্রকাশক মিলটন বড়–য়া, বলেছেন ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে আজ পোড়া বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে,বিশৃংখলা সৃষ্টির কলকাঠি নাড়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে পূর্নাথী, দায়ক-দায়িকা, সেবক-সেবিকারা যাহাতে আসতে না পারে তার জন্য যানবাহন চালকদের গাড়ি না চালাতেও বলা হয়েছে। কিন্তু এসব কেন করা হচ্ছে অথচ বৌদ্ধ সমাজের মঙ্গলের জন্য, ধর্ম লালন পালনের জন্য, অধিকারের জন্য দেব মানব পূজ্য ধুতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথের এর খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, এখানে ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোও খুব কষ্ট পেয়েছে।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর সকালে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। পরে পবিত্র ত্রিপিটক থেকে মঙ্গলাচারণ ও স্বস্তিবচন পাঠ, ধর্মীয় সংগীত এবং পঞ্চশীল প্রার্থনা করা হয়। ভিক্ষ সংঘকে এছাড়াও পিন্ডদানসহ নানান দানশীল সম্পাদন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ছয় হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের সমাগম ঘটে।