বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারঃ দীপংকর তালুকদার
।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন বলেই তিনি সাধারণ মানুষদের ভালোবাসতেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার। বুধবার ( ১৭মার্চ) সকালে সরকারি শিশু পরিবার প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মামুন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ওমর ফারুক, পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদ সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমা, পরিষদ সদস্য বাদল চন্দ্র দে, পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, পরিষদ সদস্য মিসেস ঝর্ণা খীসা, পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, পরিষদ সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সাবেক সদস্য সাধন কুমার চাকমা, জেলা সমাজসেবা পরিচালক বিশ^জিৎ চাকমা, জেলা সমাজসেবা পরিচালক রুপনা চাকমা, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া এবং হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো; খোরশেদুল আলম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, আগেকার দিনে সোনার চামচ মুখে দেওয়া লোকেরা মন্ত্রী, এমপি হতে পারতেন। যে কেউ চাইলে তাদের সামনে যেতে পারতেন না। বঙ্গবন্ধু যখন শিশু ছিলেন, স্কুলে লেখাপড়া করতেন, তখন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। শহীদ সোহরাওয়ার্দী যখন ফরিদপুর গেলেন তখন বঙ্গবন্ধু সেই শিশু বয়সে শহীদ সোহওয়ার্দীকে তাদের ভগ্নদশার স্কুল দেখালেন এবং স্কুল মেরামতের ব্যবস্থা করালেন। এভাবে ধীরে ধীরে সেই শিশু বয়সের মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠলেন। বঙ্গবন্ধু বছরের পর বছর রাজনৈতিক কারণে কারাগারে কাটিয়েছেন। এভাবে লড়াই করে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন বলেই তিনি সাধারণ মানুষদের ভালোবাসতেন। তার প্রবল ব্যক্তিত্বের কারণে ১৭ মার্চ তার জন্মদিনের আগে ভারত বাংলাদেশ থেকে সকল ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার। আমাদের লক্ষ্য হবে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে হ্নদয়ে লালন করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাওয়া।
আলোচনাসভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের পর শিশুদের জন্য পরিবেশিত উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয় এবং অতিথিরা শিশুদের সঙ্গে সেই ভোজে অংশ নেন।