রাঙ্গামাটিতে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সভা
সবার সঙ্গে আন্তরিকতা, হৃদ্যতা যেন থাকে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ধর্মের মানুষের মনমানসিকতা ভালো হবার কারণে এ এলাকার সকলে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। প্রধানমন্ত্রীও এটাই প্রত্যাশা করেন। সবাই মিলেমিশে থাকবেন, সবার সঙ্গে আন্তরিকতা, হৃদ্যতা যেন থাকে, কেউ দুঃখে পড়লে তার পাশে সকলকে দাঁড়াতে হবে। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
রবিবার (৭মার্চ) বিকেলে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট এর অডিটোরিয়ামে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রাণী রায়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপপরিচালক মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী প্রমূখ।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, রাঙ্গামাটির নেতাদের সফল নেতৃত্বের কারণে এখানে কোন অঘটন ঘটেনি এবং ঘটার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে এদেশটি একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকার সকল ধর্মের উন্নয়ন এবং কল্যাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সে জায়গায় ৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বৌদ্ধ মন্দির করছেন। এছাড়া সরকার দেশের সকল জেলা উপজেলায় মসজিদ করার জন্য ৯হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। প্রতি উপজেলায় একটি মডেল মসজিদ করার জন্য ১৪কোটি এবং জেলা সদরে একটি মসজিদ নির্মাণে ১৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এভাবে দেশে সর্বমোট ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আশ^স্ত করে বলেন, প্রত্যেক ধর্মের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ আছে। এলাকার এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ডিসি, এসপি এবং উপজেলা পরিষদ সকলে মিলে প্রত্যেক উপজেলায় গিয়ে সকল ধর্মের উন্নয়নের জন্য সরকার কি করছে সে বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মের ৩০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।