[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের রুমা গ্রামবাসীর প্রশ্ন কত বছর অপেক্ষা করলে পাকা-নিরাপদ সড়ক পাবখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী, আটক-২রাঙ্গামাটি জেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- কাজল তালুকদারসেবাপ্রাপ্তীদের প্রত্যাশা পুরণে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল বদ্ধ পরিকর: সিভিল সার্জনখাগড়াছড়ির রামগড়ে পিতা হত্যা’র আসামি ছেলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তাররাঙ্গামাটিতে মৃত হাতি শাবককে ৪৮ঘণ্টা ধরে পাহাড়ায় হাতির দলজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে দীঘিনালায় সচেতনতামূলক সভাবাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেকাপ্তাই আইডিইবি’র নতুন সভাপতি- ইমাম ও সাঃ সম্পাদক-আলীআইডিইবি কাপ্তাই সাংগঠনিক জেলা নির্বাহী কমিটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে ১ জনের মৃত্যু

৩১

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

লামায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত বশির আহমদ (৫০) বৈল্ল্যারচর গ্রামের হাজী মোঃ নুরুল হোসাইন এর ছেলে।

জানা যায়, জমি নিয়ে বৈল্ল্যারচর এলাকার মোঃ আলী ও নিহত বশির আহমদের ছোট ভাই দলিলুর রহমান পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে মেউলারচর থেকে মোঃ আলীর ছেলে আবদুর শুক্কুর ভাড়ায় চালিত মাহিন্দ্রা গাড়ি যোগে কাছাকাছি অংহ্লা পাড়ায় যাচ্ছিলেন। এসময় পোপা খালের মুখে পৌঁছলে দলিলুর রহমান ও বশির আহমদ জোর পূর্বক আবদুর শুক্কুরের মাহিন্দ্রা গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। একই সময় আবদু শুক্কুরের মামা সদর ইউনিয়নের ইজারাদার নুর হোসেন প্রকাশ ভেন্ডী আর কোন পন্যের ইজারার টাকা উঠাতে পারবেনা বলেও হুমকি দেন দলিলুর রহমানসহ অন্যরা। এর নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৩ নারীসহ ১২ জন আহত হন।

সংঘর্ষের ঘটনার কিছুক্ষণ পরে স্ট্রোক জনিত কারণে লামা হাসপাতালে ভর্তি হয় বশির আমহদ। সন্ধ্যায় তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে রাত রাত ১১টায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান নিহতের ছোট ভাই দলিলুর রহমান। এদিকে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়ে আইনী প্রতিকার চেয়ে হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান দলিলুর রহমান।

শুক্রবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন- বৈক্ষমঝিরি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আলীর মেয়ে শাবনুর আক্তার (১৮), ছেলে মোঃ রোমান (১৬) ও আবদুর শুক্কুর (৩২), মৃত কাদের আলীর ছেলে মোঃ মোস্তফা (৬০), দক্ষিণ মেউলারচরের বাসিন্দা দলিলুর রহমানের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন (৪০), বশির আহমদের ছেলে আবদুর শুক্কুর (১৮), বশির আহমদের ছেলে আবু সালাম (২৪), নুর হোসেনের স্ত্রী সিরাজ খাতুন (৭০), দলিলুর রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম রাসেল (২৫)। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এবিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছি। নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছিল। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লামা সদর ইউনিয়নের বৈল্ল্যারচর এলাকার গ্রাম সর্দার ও আওয়ামী নেতা বশির আহমদ কারবারী মৃত্যুর বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন শোক জানিয়েছেন।