[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

সেনা ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়ায় পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাড়ছে

১১৩

॥ মোঃ আরিফুর রহমান ॥

পার্বত্য অঞ্চলে বেপরোয়াভাবে সন্ত্রাসীদের উত্থান হলেও এর লাগাম টেনে ধরার জন্য নেই পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীর অনেক ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়ায় জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাড়ছে। সন্ত্রাসীরা আগের মত এখন জঙ্গলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রশাসনের নিরাপত্তা বলয় ভেঙ্গে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন জায়গায় চালাচ্ছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। রেহাই পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসানের কার্যালয়ের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে জঙ্গি সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর অবৈধ অস্ত্রধারীদের সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধের লক্ষ্যে দ্রুত চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে তাদের সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার পূর্বক পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প পুনঃস্থাপনের দাবিতে এবং বাঘাইছড়িতে সরকারি অফিসে ঢুকে ইউপি মেম্বার বিজয় চাকমাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি উদ্যোগে বিক্ষোভ-সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এসময় সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ ফরাজি সাকিব এর সভাপতিত্বে ও সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম এর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির, নাগরিক পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি কাজি মোঃ জালোয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদ উল্লাহ্ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তরা বলেন, পার্বত্য এলাকায় জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তে কিছু দুর্গম এলাকা রয়েছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ যে অস্ত্র ব্যবহার করে তা সীমান্তের ওই দুর্গম এলাকা দিয়ে বাহির থেকে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। সশস্ত্র জঙ্গী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাতে ভারী অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র শাখা এক হয়ে জুম্ম লিবারেশন আর্মি গঠন করেছে, তারা এখন ‘সেকেন্ড ফেজ ইনসারজেন্সি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করছে।

ক্তারা আরো বলেন, সীমান্তের ওপারে গড়ে তুলেছে ১৪টি ক্যাম্প। দিন যত যাচ্ছে পাহাড়ের সশস্ত্র জঙ্গী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফের অপতৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে বাঘাইছড়ি পিআইও অফিসে ঢুকে সমর বিজয় চাকমা নামের এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। উক্ত হত্যার সাথে জড়িত জেএসএস সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প অধিক হারে স্থাপন করার জন্য দাবী জানান বক্তারা।

সমাবেশ শেষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।