পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৪৪
মহা পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, সময় দেন,বঙ্গবন্ধুর পাক্কা উত্তসুরী ৭৫ পরবর্তী ‘বঙ্গ জননী’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও নানান চরিত্রের অবাধ্য জীবানু করোনা-১৯’র অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৪৪ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো আমি অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদের দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে, চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাইজ কামের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা সমালোচনা হইলো….
মা’গো গেল বিশুধবার প্রকাশ্য দিবালোকেই বাঘাইছড়ি পাহাড়ের প্রকল্পের আফিসে ঢুকিয়া প্রতিপক্ষরে গুলিতে খুন করিয়া চম্পট দিয়াছে অস্ত্রধারীর দল। বেচারা ইউপি সদস্য সমর বিজয় উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার আফিসে নিজ কাইজে গেলে গুলিতে চেয়ারেই প্রান হারাইয়াছেন। মা’রে পাহাড়ের দম বন্ধ জীবনাচার ক্ষেপে ক্ষেপে সন্ত্রাসীরা বাচবিচার ছাড়াই আচার বানাইয়া ছাড়িতেছে। এইভাবেই বহু মা’য়ের বুক খালি হইতেই আছে। জঘন্য এই হত্যাকান্ড লইয়া আঠার জনরে আসামী করিয়া মামলাও হইয়াছে। মহা পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, সময় দেন।
দুই পাহাড়ের পৌর নির্বাচনে আপুনরাই জয় হইলো। কাগুজপত্রের ভাঁজ করার দিন শেষ। ফডর ফডর চাপ দিলেই চটর করিয়া ভোটও শেষ। আপুনার যুব নেতাতো কহিলো এইবার নির্বাচিত হইলে উন্নয়নের কাজের বাকী অংশ পূর্ন করিবে। শহর নগরের অধিকাংশ রাস্তাঘাটের কাজই বিগতসময়ে ধরে নাই তয় শেষ হইয়াও যদি না হয় শেষ ভোটারগনতো রেশ টানিবে। বান্দরবানের বেবীরও হেই একই অবস্থা তাইনেরেতো উন্নয়নে পূর্ন যুবক হইতে হইবে। আমাগো পার্বত্য মুন্ত্রীতো সন্ত্রাসীগোরে কড়া ভাবেই ছবক দিয়াছেন। উন্নয়ন কাইজে বাঁধা না দিতে, উন্নয়নকামী দাদু-দিদিগোর অধিকারের রাস্তা নষ্ট না করিতে। হ¹লই ধর্য্যরে সীমা থাকে সমস্যা থাকিলে বয়ানে আসেন। তয় বাহাদুর দাদুতো কিছু দিনের মইধ্যে বান্দরবানের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের দৃশ্য ফোকাস করিবে।
মা’জননীগো দেশের দাদু-দিদিরা ভীতি কাটাইয়া এক্কুন টিকার ইতি টানিতে ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছে। অসহায়রাও কখন শরীলে ভ্যাকসিন ঢুকাইবে তার অপেক্ষায় রহিয়াছে। তয় বহুত প্রতিষ্ঠানের কর্তারাতো ডরে ভয়ে থাকিয়া ভ্যাকসিন মারেন নাই। সারা দেশের চিত্রতো মনে হইতেছে আমাগো অনুকুলেই রহিয়াছে। জাতির উন্নয়নে দরকার হইলে ঘরে ঘরে ঢুকিয়া টিকা মারিতে হইবে। এইবার পোলাপাইনের স্কুল কলেজ ওপন করিয়া দিতে প্রস্তত হন। বহুত দাদু দিদিরাতো কহিলো তাইনেগোর ছোট্ট দাদুরা ঘরের দরজা ঘাঙ্গিয়া পাঠশালায় যাইতে ইচ্ছিুক। দেশরে যেইভাবে আগাইয়া নিয়া গেছেন তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করিতেই হইবে। অভিভাবকের সামনে পিছনে কি কি দায় গুরুদায়িত্ব আপুনি দেশের দাদু-দিদিগোরে তা হাড়ে হাড়ে বুজাইয়াছেন। এই হইলো রাষ্ট্রের যোগ্য অভিভাবক, আপুনিই হইলেন বঙ্গবন্ধুর পাক্কা উত্তসুরী ৭৫ পরবর্তী ‘বঙ্গ জননী’।
মা’গো গ্রেনেড হামলা, ব্লগার দীপন, অভিজিৎ হত্যা মামলা, আলোচিত সিরিজ বোমা হামলার রায়তো দেশবাসী দেখিয়াছে তয় কার্যকরও দেখিতে আগ্রহী হইয়া পড়িয়াছে। আলোচিত ২১ আগষ্টের ঘটনায় জঙ্গি ইকবালের গ্রেফতার ঘটনায় তল্পীতল্পা বাহির করিতে গুরিন্দাগোরে কাজে লাগাইয়া দেন। পাহাড়ের বিজ্ঞ বহুত দাদু-দিদি কহিলো জঘন্য ঘটনার আর ফক্কার যাওনের সুযোগ নাই। আঁট-ঘাট বান্ধিায় টেকনাফ হইতে তেতুলিয়া পর্যন্ত চালইন দিয়া ছাকিতে ওয়ার্ডার করেন। রোহিঙ্গরাতো আমগো দেশে খায় ঘুমায় আর আমাগোর বুকেই চাকু চালায়। দয়া দেখাইতে যাইয়া জাপা নেতা আনোয়ারকে প্রাণ দিতে হইয়াছে। শয়তানের দলের এইসবরে শরীলে ডিজিটাল মার্কা টেগ করিয়া দেন। আর্জি দাদু কহিলো, সালাম দেওন লন লইয়াও গাজিপুরে মিস্ত্রি খুন। এই কোন তামাম দুনিয়া বসবাস করিতেছি।
মা’গো এই ভাষার মাসেও আমাগো মা-বোনদের ইজ্জত হানি হইয়াছে। ট্রেনেতো প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করিয়াছে রেলে কর্মচারী। ধর্ষণে ব্যার্থ হইয়া শহীদ মিনারের পিছনে পড়িয়াছিল আমাগো মা মীমের নিথর দেহ। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ধর্ষণ মামলায় দেলুবাহিনীর দেলুসহ সাঙ্গাপাঙ্গদের দ্রুত ঝুলাইয়া দিতে আদেশ করেন। দেশের কোন না কোন স্থানে নারীরাতো লাগাতার রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িতেছে। অসহায়রা কহিতেছে কার ক্ষেমতা বেশী। তয় মা’রে আমাগো মা-বোন-ঝিগোর জীবন মান নিরাপদ করিতে আরো কঠোর হইবেন। সাইফ দাদুতো পড়া লেখা না করিয়া জঙ্গিবাদে জড়াইয়া নিজের যান অর দেশের মানও শেষ করিতেছে। দলের বাকীদেরও খুজিয়া বাহির করিতে ওয়ার্ডার করেন।
মা’রে করোনা-১৯তো আমাগো রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পিছনে টানিতেছে। খাইয়া না খাইয়া বৈদিশেক শ্রবাজার ঠিক রাখিতে এই যোদ্ধারাতো একপায়েই খাড়া। তয় লুটেরা আদম ব্যপারীগোর লাগাম টানিতে ওয়ার্ডার করিবেন। মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার ঠিক করিতে মন্ত্রণালয়কে কড়া পত্র দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর এসকে সুর রানিং নির্বাহী শাহ আলম দ্বয়ের সুরতো উল্টো দিকেরই মনে হইতেছে। মহামান্য হাইকোর্টও কহিলো ব্যাংকে বহুত চোর ডাকাই বসিয়াছিল। বঙ্গবন্ধু এই সোনার দেশডারে চোরের দলই তামা বানাইতে বহুত খেলা দেখাইয়াছে। ভোলায় ত্রাণের টাকা মারিয়া ২১ বছরে কুটিপতি ধুরন্ধর চিটার টিপু। কেমুন জানি মনে হইতেছে ঐ চোরচাট্টাগোর মহা বাহিনীর জি হুজুর, ইয়েস হুজুর, যাই হুজুর, খাই হুজুর ভক্তরাই দেশের অর্থের রক্ত চুষিয়াই যাইতেছে। পাচার হওয়া হাজার হাজার কুটি টাকা দেশে ফেরত আনেন। ৭৫ পরবর্তী সোনার বাংলারে তলাবিহীন ঝুড়ি বানানোর কলকাটির ডিরের্ক্ট, নায়ক-নায়িকা, প্রডিউসর, মেকাপকারীদের কষিয়া টান দেন।
মা’জননীগো, সানী দাদু কহিলো পুরান ঢাকার রসায়নিকে প্রাণ হানির আশঙ্কা হুট করিয়া লম্বা হইয়া যাইবে। চুরিহাট্টির গেল ঘটানা হইতে উত্তরণের ফর্দে, পরিকল্পনাতেই ঠেক ধরিয়াছে, মামলার অবস্থাও ফাইলবন্দী। পুরান ঢাকার রসায়নিকের পুরান ঘটনার পূঃনর্জন্মের আগেই তথ্য তালাশ লন। আলী দাদু কহিলো, গোয়েন্দা পুলিশ এইবার কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী হইতে ৭বস্তা ইয়াবা আর ২ বস্তা টাকা উদ্ধার, দুই কারবারীকে আটক করিয়াছে। ইউসুফ দাদু কহিলেন, রাজধানীর অলিগলির ছোট্ট ছোট্ট দাদু-দিগোর মুখে যোগ হইয়া আরেক নেশা ‘ডান্ডি’ এমনিতেই গোটা দেশেরে ইয়াবায় গিলিতেছে তার মইধ্যে নতুন উদ্ভাবন হইয়াছে এই ‘ডান্ডি’ মহা দায়াবান সৃষ্টিকর্তা এই দুনিয়ায় অসতের গুষ্টি আর কিকি আকাম করিলে জাতিরে ডুবাইয়া ছাড়িবে মনে হইতেছে তাইনেও চিন্তায় পড়িয়াছে। কঠোর পরিকল্পনা না লইলে ভবিষ্যত প্রজম্মের বহুতে লুলা, ল্যাংড়া হইয়া পড়িবে। এমপি পাপুল ঘটনায় দেশের মান নষ্টের কারনে এখুন কাট গড়ায় দাঁড়া করানোর ব্যবস্থা করেন। কবির দাদু কহিলো, হাইকোর্টের জাল জামিন আদেশ দেখাইয়া বগুড়ায় মারামারি মামলা ৩০ আসামী নাকি ফুরুত হইয়া গিয়াছে। এই জালিয়াত চক্রের লেজগোছ বাহির করিতে ওয়ার্ডার দেন।
মা’রে নোয়াখালীরে চোর, ডাকাইত, লেউচ্চা, কেউচ্ছা, বাহিনীরা একেব্বারে হ¹ল দিক হইতেই খালি করিয়া ছাড়িবে। আমামীলীগের মির্জা-মিজানরা ক্ষমতার দম্ভ দেখাইতে যাইয়া হেইখানের বসুর হাটে আবাধ্য ঐ দুই নেতার সমর্থক অস্ত্রধারী পশুদের গুলিতে আমাগো সাংবাদিক মুজাক্কিররে গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে। সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা ঘটনায় দেশের সাংবাদিক দাদু-দিদিরাতো চরম ক্ষেপিয়াছে। তাইনেরা রাষ্ট্র আর জাতির কল্যাণে লিখিতে যাইয়া ভাত পানির খবর নাই অথচ গুলি খাইয়া জীবন যায়। মির্জা-মিজান কি দেশে কুটি কুটি দাদু-দিদিগোরে তামাশা দেখাইতেছে। আপুনি দেশের দাদু-দিদিগোরে বাঁচাইতে করোনা-১৯ লইয়া যুদ্ধ চালাইতে চালাইতে এখুন ২১শে ঠেকিয়াছেন তয় তাইনেরা তাফালিং দেখাইতেছে। এমনিতেই নোয়াখালীতে নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, নিপিড়ণ, খুন, বিব্রস্ত্র লইয়া গোটা দেশে ছিঃছিঃ’র পাত্রতে পরিণত করিয়াছে। তয় মির্জা-মিজানসহ সাঙ্গপাঙ্গদের জেলে ভরিতে আদেশ করিবেন। কুষ্ঠিার তানভির দাদু কহিলো, যেই মা ছেলেরে গর্ভধারন করিয়া ভাষা শিখাইয়া শিক্ষিত করিয়াছে সম্পত্তির লোভে ভাষার মাসে হেই মারে পোলায়ই খুন করিয়াছে। ঐ ঘটনায়তো মনে হইতেছে উপরওয়ালাও কান্দিতেছে। এই অসুর পোলারে চরম শাস্তি দিতে দেরী নয়গো মা।
মা’জননীগো দুর্নীতি করিয়া দেশের টাকা খালি পাচারই হইতেছে। ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারমনের দুই হাজার কোটি টাকার দুনীতির মামলায় কারাগারে। তাঁগো তল্পীতল্পা হ¹লই বাজেয়াপ্ত করেন। এই ক্যাডারের চেলাচামুন্ডাসহ গলাকাটা অপরাধের কক্ষপথের হিসাবও দেশের কুটি কুটি দাদু-দিরিা জানিতে চাহে। আমাগো উল্লা দাদু কহিলো, চাঁটাগার শিবির ক্যাডার নাকি আমামীলীগের নিয়ন্ত্রক, এইডা হইলো ভবিষ্যতের যন্ত্রণাদায়ক। বিবেকের রক্তও ফিনকি দিয়া বাহির হইতেছে। চাঁটগায় বাড়ির ছাদেও অস্ত্রের কারখানা। ডুলাহাজারায় রং মহলের রং তো এস্কেভেটরেই শেষ হইতেছে। কাস্টমস এলাকায় স্বামীরে আটকাইয়া স্ত্রীরে ধর্ষণ। ব্যবসায়ীকে আটকাইয়া টাকা আদায়ের মামলা ছয় পুলিশ কারাগারে। নগরীতে চুরি ডাকাতি রাহাজানর ওরা ৯ জনের বাকী একজন কই নগরবাসী কুইশান করিয়াছে।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপুনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্বশক্তিধর করোনা-১৯। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ খ্রীঃ