[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নিজেই টেকনিশিয়ান, ডাক্তার ও ফার্মাসিষ্ট

কাপ্তাই উপজেলায় প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বে-আইনী বাণিজ্য

৫৯

॥ কবির হোনের, কাপ্তাই ॥

কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারের নিয়মনীতি না মেনে প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য চলছে। পাশাপাশি যে টেকনিশিয়ান সে-ই আবার ডাক্তার হয়ে ফি নিয়ে রোগী দেখছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুরোর যে অবস্থা তাত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে হেলাফেলা করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের দেয়া লাইসেন্স, রেজি নং, প্রতিষ্ঠানের নাম, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, পরিবেশ ছাড়পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চুক্তি, পরীক্ষা নিরীক্ষার বিবরণী পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ বিবিধ নিয়মনীতি না মেনে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কোথাও কোথাও নিজেই ডাক্তার, টেকনিশিয়ান আবার ফার্মাসিষ্টও।
এদিকে ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের কিছু অসাধু টেকনিশিয়ান পার্বত্য এলাকার নিরহ আসহায় লোকদের ঠকিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। কোন, কোন প্যাথলজির মালিক এস,এস,সি বা এইচ,এস,সি পাশ করেনি অথচ নিজেই ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ান হয়ে রীতিমতো ফি নিয়ে রোগীও দেখছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দেয়া অনুযায়ী ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের এ,বি,সি ক্যাটাগরি থাকতে হবে। এর মধ্যে সি ক্যাটাগরিতে রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্টি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে ও আলটাসনোগ্রাগ সহ বিবিধ নিয়ম মেনে পরিচালনা করার নিয়মনীতি থাকলেও তা কোনটাই মানা হচ্ছেনা। এছাড়া প্রাপ্ত লাইসেন্সগুলোর মেয়াদও নেই বলে জানা গেছে।

এছাড়া কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেই ডাক্তার, টেকনিশিয়া ও ফার্মেসী ব্যবসা করে সাধারণ লোকদের দিনের পর দিন প্রতারিত করে চলছে। কোন কোন প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ব্যতিত বছরের পর বছর প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কাপ্তাই উপজেলায় সম্প্রতি প্রশাসনের কর্তৃক কিছু অবৈধ প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে দোকান সিলগ্যালা, জরিমানা আদায় এবং নিজেকে আর কখনও ডাক্তার বলে প্রেসক্রিপশন করবেনা বলে মুচলেখা নেয়া হয়। এত কিছুর পর ও আবারও প্রশাসরেন চোখে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। এদিকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কে এ বাপারে একাধীব বার ফোন করেরও তাকে পাওয়া যায়নি।