[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের রুমা গ্রামবাসীর প্রশ্ন কত বছর অপেক্ষা করলে পাকা-নিরাপদ সড়ক পাবখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী, আটক-২রাঙ্গামাটি জেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- কাজল তালুকদারসেবাপ্রাপ্তীদের প্রত্যাশা পুরণে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল বদ্ধ পরিকর: সিভিল সার্জনখাগড়াছড়ির রামগড়ে পিতা হত্যা’র আসামি ছেলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তাররাঙ্গামাটিতে মৃত হাতি শাবককে ৪৮ঘণ্টা ধরে পাহাড়ায় হাতির দলজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে দীঘিনালায় সচেতনতামূলক সভাবাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেকাপ্তাই আইডিইবি’র নতুন সভাপতি- ইমাম ও সাঃ সম্পাদক-আলীআইডিইবি কাপ্তাই সাংগঠনিক জেলা নির্বাহী কমিটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নিজেই টেকনিশিয়ান, ডাক্তার ও ফার্মাসিষ্ট

কাপ্তাই উপজেলায় প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বে-আইনী বাণিজ্য

৬০

॥ কবির হোনের, কাপ্তাই ॥

কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারের নিয়মনীতি না মেনে প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য চলছে। পাশাপাশি যে টেকনিশিয়ান সে-ই আবার ডাক্তার হয়ে ফি নিয়ে রোগী দেখছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুরোর যে অবস্থা তাত মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে হেলাফেলা করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের দেয়া লাইসেন্স, রেজি নং, প্রতিষ্ঠানের নাম, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, পরিবেশ ছাড়পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চুক্তি, পরীক্ষা নিরীক্ষার বিবরণী পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ বিবিধ নিয়মনীতি না মেনে অবৈধ ভাবে বছরের পর বছর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কোথাও কোথাও নিজেই ডাক্তার, টেকনিশিয়ান আবার ফার্মাসিষ্টও।
এদিকে ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের কিছু অসাধু টেকনিশিয়ান পার্বত্য এলাকার নিরহ আসহায় লোকদের ঠকিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। কোন, কোন প্যাথলজির মালিক এস,এস,সি বা এইচ,এস,সি পাশ করেনি অথচ নিজেই ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ান হয়ে রীতিমতো ফি নিয়ে রোগীও দেখছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দেয়া অনুযায়ী ডায়াগনষ্ঠিক সেন্টারের এ,বি,সি ক্যাটাগরি থাকতে হবে। এর মধ্যে সি ক্যাটাগরিতে রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্টি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে ও আলটাসনোগ্রাগ সহ বিবিধ নিয়ম মেনে পরিচালনা করার নিয়মনীতি থাকলেও তা কোনটাই মানা হচ্ছেনা। এছাড়া প্রাপ্ত লাইসেন্সগুলোর মেয়াদও নেই বলে জানা গেছে।

এছাড়া কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেই ডাক্তার, টেকনিশিয়া ও ফার্মেসী ব্যবসা করে সাধারণ লোকদের দিনের পর দিন প্রতারিত করে চলছে। কোন কোন প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ব্যতিত বছরের পর বছর প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কাপ্তাই উপজেলায় সম্প্রতি প্রশাসনের কর্তৃক কিছু অবৈধ প্যাথলজি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে দোকান সিলগ্যালা, জরিমানা আদায় এবং নিজেকে আর কখনও ডাক্তার বলে প্রেসক্রিপশন করবেনা বলে মুচলেখা নেয়া হয়। এত কিছুর পর ও আবারও প্রশাসরেন চোখে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। এদিকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কে এ বাপারে একাধীব বার ফোন করেরও তাকে পাওয়া যায়নি।