[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটি পৌরসভা নির্বাচন

ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মেয়রসহ ৬৫ প্রার্থী

৮৭

॥ মোঃ নুরুল আমিন ॥

রাঙ্গামাটি পৌরসভা নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। শীতকে উপক্ষো করে ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তাঁরা। লক্ষ্য- যে কোনো উপায়ে ভোটাদের ভোট নিজেদের বাক্সে আনা।

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৬৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে রাঙ্গামাটি পৌরসভায় মোট ৯টি ওয়ার্ড। সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য (নারী) পদে ১৯ জন ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। মেয়র পদে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী (নৌকা), এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন (ধানের শীষ), প্রজেশ চাকমা (লাঙ্গল), বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির মোঃ আব্দুল মান্নান রানা (কোদাল) এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অমর কুমার দে (মোবাইল)।

পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৬২ হাজার ৯শত ১৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৪ হাজার ২শত ৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ২৮ হাজার ৬শত ৭১ জন। ভোট গ্রহণের জন্য ৩১টি কেন্দ্রের ২০১টি বুথ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে। তাই ইভিএম নিয়েও ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

২০১৫ সালে প্রথমবারে রাঙ্গামাটি পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী। তাই দ্বিতীয়বার মেয়র হওয়ার লক্ষ্যে এবারও তিনি ভোটাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। তারঁ রাজনীতির হাতেখড়ি হয় ছাত্রলীগের মাধ্যমে। দক্ষ সংগঠক হিসেবে দলের জন্য অনেক ত্যাগ সহ্য করে বর্তমানে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের সভাপতি। যোগ্য প্রার্থীর হাতে নৌকার প্রতীক তুলে দেওয়ায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। দলীয় বিভেদ ভুলে তারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এখন একজোট।

বিএনপি’র প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুনও পিছিয়ে নেই নির্বাচনী প্রচারণায়। তিনিও ভোটের জন্য ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দিন-রাত। তিনি দক্ষ সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন সময় জেরজুলুম সহ্য করে বর্তমানে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বরত রয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরাও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদিকে আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মূল দল থেকে এবারের পৌরসভার নির্বাচনে কোন প্রার্থী না দেয়ায় রাঙ্গামাটি পৌরবাসীর কাছে নানান জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন,এবারের পৌর নির্বাচনে জেএসএস দলের ভোট বিএনপি’র পক্ষে যাবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, চাকমা সম্প্রদায় থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রজেশ চাকমার পক্ষে যাবে। তবে এখনও সঠিক বলা যাচ্ছে না কোন দিকে যাবে জেএসএস দলের ভোট গুলো।

রাঙ্গামাটি জেলা নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মোঃ শফিকুর রহমান জানান, রাঙ্গামাটি পৌরসভার নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সম্পূর্ণ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারী ভোটাদের সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মক ভোটের মাধ্যমে ইভিএমের ব্যবহার শেখানো হবে। প্রার্থীরা নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে যাতে প্রচারণা চালান তার এবিষয়েও কঠোর ভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।