রাঙ্গামাটিতে করোনা টিকাদান শুরু
পাহাড়ের শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী কাজ করবে : রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেকুর রহমান,পিএসসি বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে অপামর জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করেছে। তেমনি পাহাড়ের শান্তি,সম্প্রীতি ও উন্নয়নে জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেনাবাহিনী কাজ করবে।
রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটি সি এম এইচ রুমা এর উদ্যোগে এবং সদর দপ্তর ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সেনা রিজিয়ন মাঠে কোভিট-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচি উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাকমা চীফ সার্কেল রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় ,রাঙ্গামাটি সদর জোনের জোন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম,পিএসসি,পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা সির্ভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা প্রমূখ।
রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, রাঙ্গামাটিতে ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে অনেকেই নানান বিভ্রান্তকর তথ্য সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচার করছে এবং অনেকেই আলাপ-আলোচনা করছে। আপনারা মনে রাখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় ৩ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে এ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে যারা প্রধান সারিতে আছে অথ্যাৎ চিকিৎসক, নার্স,দাফনের কাজে জড়িত এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যারা মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে, জীবন-জীবিকার সচল করেছে এবং মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই বিশেষ কাজটিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষের মনে যাতে বিভ্রান্তি না থাকে এর জন্য এ ভ্যাকসিন দেওয়া সুন্দর ও সফল হয়েছে বলে আমরা আশা করবো এবং এর ধারাবাহিকতা চলবে। রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত যে সিএমএইচ রয়েছে তারা ভ্যাকসিন প্রতিনিয়ত প্রয়োগ করবে।
তিনি আরো বলেন, বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে সারা দেশে যখন মানুষের জীবন-জীবিকা স্থবির হয়ে পড়েছে,তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িছেন। কিভাবে মাস্ক পরিধান করবে এবং কিভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলার প্রত্যেক উপজেলায় আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টার স্থাপনে সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসন সহ একযোগে কাজ করেছেন।
অনুষ্ঠানে ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, জানি আমাদের দেশে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কারণে বা অকারণে অনেক ধরনের গুজব রটায়। যে ভ্যাকসিনটি সঠিক না,এটিতে ভেজাল আছে বা এটি হলে খারাপ প্রতিক্রিয়া হবে। এগুলো সব গুজব। আমি অন্যান্যদের সাথে বলতে প্রস্তুত আছি সবার কাছে কোন ভয় নেই। আমরা যেন প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে সরকার বাংলাদেশকে যে সুযোগ দিয়েছে বা উপহার দিয়েছেন তা আমরা গ্রহণ করবো।
তিনি আরো বলেন, টিকা নিয়ে তিনি খুবই সৌভাগ্যবান। আমাদের দেশে বাকী নাগরিকেরাও যাতে অল্প মূল্যে টিকা নেয়ার এই সুযোগটি পান এরজন্য প্রধামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে তিনি।
এর আগে লেন্স কর্পোরাল জহিরুল ইসলামকে করোনা টিকা দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি উদ্ধোধন করেন অতিথিরা।
এদিকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এর শরীরের টিকা প্রয়োগ করে শুরু করা হয় টিকাদান কার্যক্রম। এর পর টিকা গ্রহণ করেন, রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা,পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন,ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় সহ ৪০ জনকে টিকা প্রধান করা হয়।