[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য কেন

৮৬

পার্বত্য চট্টগ্রামে তামাকের চাষের বিরুদ্ধে যখন লেখা লেখি আন্দোলন তখনই তামাক চাষের নতুন নতুন এলাকা এবং কৃষক সমাজ জড়িত থাকার অভিযোগ আসছে। এমনিই অভিযোগ বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে বিষবৃক্ষ তামাকের চাষ। অথচ এক সময় ধান, ভুট্টা, আলু, বেগুন, লাউ, শিম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদের জন্য সুনাম ছিল আলীকদম উপজেলার। এখন আলীকদম উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় নদীর ধারে ও ঝিরিসমূহের ধারে তামাক চাষ করা হচ্ছে। একের দেখখেীতে বাড়ছে চালের সংখ্যা ও কৃষকের।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে নদীর ধারে নদী কিংবা ঝিরি জলধারে থেকে ৬০ ফুট মধ্যে তামাক চাষ না করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বেশ কিছু এলাকায় নদীর ধারে এবং পাহাড়ী ঝিরিতে তামাত চাষ করা হয়েছে। তামাক নির্মূল অভিযান পরিচালনা করা হলেও দুই-তিন বছর ধরে তার প্রচারে ব্যাপকতা নেই। এ কারণে নদীর পাশে ও পাহাড়ী ঝিরি গুলোর ২ ধারে বেড়ে চলেছে তামাক চাষ। এসব উৎপাদিত তামাক প্রক্রিয়াজাত করতে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তন্দুর বা তামাক পোড়ানোর চুল্লি। এছাড়াও এসব চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনের কাঠ। স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের জানা সত্বেও তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণে আগুনে পোড়ানো হচ্ছে বনের লাখ লাখ মন কাঠ। এ কারণে আলীকদমে বৃক্ষশুন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি হেক্টর জমিতে সাধারণত ৭০ বেল (এক বেল সমান ৪০ কেজি) তামাক পাতা উৎপাদন হয়। চলতি বছরে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদন হতে পারে ১৭ লাখ ৫০ হাজার বেল পাতা। উৎপাদিত পাতা পোড়ানো হয় তন্দুল নামে পরিচিত চুল্লিতে। আর প্রতি ৭০ বেল তামাক পোড়াতে প্রয়োজন হয় চার টন জ্বালানি। প্রতি বছর তামাক পোড়াতে ব্যবহার হচ্ছে ১ লাখ টন বন থেকে সংগৃহীত জ্বালানি কাঠ। ফলে উভয় দিকেই ক্ষতি হয়েই যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, আলীকদমে ফসলি জমি ছাড়াও তামাকের আগ্রাসন থেকে বাদ পড়েনি স্কুলের মাঠ, মাতামুহুরী নদীর চর, চৈক্ষ্যং খালের চর, রোয়াম্ভু ঝিরি,কলার ঝিরি, বাঘের ঝিরি, গয়াম ঝিরি, ১নং পূর্ণবাস এলাকার ঝিরিসহ বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ী ঝিরি ও ছড়া গুলোতে তামাক চাষ হচ্ছে। এইসব জলধারে তামাক চাষের কারণে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি ও ঝিরিগুলোর পানি। আর স্থানীয়রা পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, সুবিধার জন্য আবুল খায়ের ট্যোবাকো, ঢাকা ট্যোবাকো, নাসির ট্যোবাকো, আকিজ ট্যোবাকো ও ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো সুপারভাইজার ও কর্মকর্তারা চাষিদের নানান প্ররোভন দেখিয়ে অগ্রীম অর্থ দিয়ে চাষ করাচ্ছেন তামাকের। তামাক প্রতিষ্ঠানগুলো চাষিদের মধ্যে কার্ড দিয়ে বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করে এবং কোনও শর্ত ছাড়াই সার ও নগদ অর্থ দিচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন মাঠে গিয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন বলে জানান। পার্বত্র চট্টগ্রামের তামাক চাষ তেকে কৃষকদের আরাদা করতে হলে প্রশাসনকে আরো বেশী দৃষ্টি দিতে হবে। কেন প্রমাসনের নিষেধাজ্ঞাকে আমান্য করা হবে।