রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব এর পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন
পূর্বের কথিত প্রেস ক্লাব হলো কবরস্থান তার পাহাড়াদার হলো সভাপতি-সম্পাদক
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় সম্পাদক ও প্রকাশক এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি মিলটন বড়ুয়া বলেছেন, পূর্বের কথিত রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব হলো কবরস্থান এবং তার পাহাড়াদার হলো সভাপতি ও সম্পাদক। কেননা তারা মূলস্রোতধারার সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত না করে তাদের কুক্ষিগত নেতৃত্ব ও কতৃত্ব এই ক্লাবকে কবরস্থানে পরিণত করেছে। দেশের গুরুত্বপূর্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের নিয়ে শনিবার গঠিত রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব এর কার্যকরি কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় নবগঠিত কার্যকরি কমিটির সভাপতি, সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাধারণ সম্পাদক, নন্দন দেব নাথ সহ সকল নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি সাংবাদকতা শুরু করেছি ১৯৯৫ সাল থেকে সেই হিসেবে সাংবাদিকতার বয়স বর্তমানে ২৫ বছর চলছে। এরই ফাঁকে আমার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় এর বয়সও পাঁচ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে। এভাবেই আরো অধিকাংশ সাংবাদিক দেশের লিডিং পত্রিকার প্রতিনিধি এবং নিজস্ব প্রতিবেদক রয়েছে, অথচ ঐ প্রেস ক্লাবকে পূর্নাঙ্গ রূপ দেয়া হয় নাই। অযোগ্য নেতৃত্বের কারনে এ ক্লাবকেই অযোগ্য এবং অ-পূর্নাঙ্গ করে রেখেছে, তারা তাদের ইচ্ছেমত চলছে। অথচ সর্বজ্ঞাত যে প্রেস ক্লাবই সাংবাদিকদের নিয়েই সংগঠিত প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতার পথিকৃত এর দাবিদার দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ দেশ ও সমাজের কাছে যে সম্মান ও পুরস্কারে ভুষিত হওয়ার অধিকারী ছিল কথিত ঐ কবরস্থানে পরিণত প্রেস ক্লাবই এর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দিয়েছে। ঐ কবরস্থানের পাহাড়াদার সভাপতি ও সম্পাদক এর কুক্ষিগত নেতৃত্ব ও কতৃত্ব আজকে সাংবাদিক সমাজই এর সম্মান থেকে বঞ্চিত। তাই বলতে হয়, পূর্বের কথিত রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব হলো কবরস্থান এবং তার পাহাড়াদার হলো সভাপতি ও সম্পাদক। তিনি গঠিত পূর্নাঙ্গ রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং নেতৃত্ব দেবে। এখানে সবারই সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে। তাই সরকারি বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক সহ মানব কল্যাণে কর্মরতদের সকলকে গঠিত রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব এর সাথে থাকার আহ্বান জানান।