শেখ হাসিনার উদ্যোগ বিশ্বে নজির সৃষ্টি করবে: রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে সারাদেশে প্রথম পর্যায়ে গৃহ পাচ্ছেন প্রায় সত্তর হাজার পরিবার
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
রাঙ্গামাট জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর যে মহতি উদ্যোগ বিশ্বে নজির সৃষ্টি করবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে সারাদেশে ভুমি ও গৃহহীন দরিদ্র প্রায় সত্তর হাজার পরিবারের মাঝে গৃহ প্রদানের এই উদ্যোগ দেশে উন্নয়ন এবং মানবতাকে আরো সুদৃঢ় করা হলো। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারী) বিকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ভুমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান এর মতবিনিময় ও প্রেস বিফ্রিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকাল ৩টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দুরদর্শী সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং এর সফলতা শুধু দেশেও নয় বিশ্বের কাছে প্রশংসার। এই উদ্যোগও বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ ঘোষণার একটি মাইল ফলক হিসেবেই কাজ করবে। সরকারের উন্নয়নের অংশ গণশুনানীও অসহায়দের সহযোগীতার একট মহৎ অংশ। গণশুনানীর কারনে সাধারণ জনগণ সরকারের পদস্থ প্রতিনিধিদের সাথে বসে কথা বলতে পারছেন, সহায়তা নিতে পারছেন। তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ তাই আগামী ২৩ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে দেশের ভুমি ও গৃহহীন ৬৯ হাজার ৯শত ৪টি পরিবারকে এসব গৃহ প্রদান করছেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলায় ১ম পর্যায়ে নির্মিত ঘর উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করছেন। ২৩ জানুয়ারী জেলা শহরের জিমনেশিয়াম মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২শত ৬৮ পরিবারকে এসব গৃহ হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে রাঙ্গমাটি সদর উপজেলায় ৬০, কাপ্তাই উপজেলায় ৩০, রাজস্থলী উপজেলায় ৬২, বরকলে ১৯, বাগাইছড়ি উপজেলায় ৩৫ ও লংগদু উপজেলায় ৩৪ ভুমি ও গৃহহীন পরিবারকে পরিবারকে তিনি বলেন, কেউ বাদ পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে টাস্কফোর্সকে আবেদন করতে হবে। এটা অবশ্যই প্রশংসার যে ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ এর প্রথম পর্যায়ের অংশ বাস্তবায়ন হতে চলেছে।