[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

তিন জেলায় ৪০ হাজার পরিবারকে বিনা পয়সায় সোলার দেয়া হবে

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেক উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে : পার্বত্যমন্ত্রী

৮৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং, এমপি বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলায় প্রত্যেক উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। ইত্যেমধ্যে কাজগুলো শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষাকে আরো গতিশীল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের সন্তানেরা যাতে ঘরে দোয়ার বসে উচ্চতর শিক্ষা পাওয়ার জন্য রাঙ্গামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করে দিয়েছেন। উন্নতর শিক্ষা পাওয়ার লক্ষে মেডিকেলে লেখাপড়ার জন্য মেডিকেল কলেজ স্থাপন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বান্দরবানে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় করার অনুমতি দিয়েছেন। ইত্যেমধ্যে ২ হাজার ২শত ছাত্র-ছাত্রীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা,এনডিসি এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, তথ্য কমিশনের সচিব সুদত্ত চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ,পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী।

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ইতোমধ্যে সরকার বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণের জন্য কাজ গ্রহণ করছেন। তার মধ্যে তিন পার্বত্য রাঙ্গামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি তিন জেলায় দুর্গম অনেক এলাকা আছে। হয়ত, আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যেও এতদ্রুত বিদ্যুৎ পৌছানো সম্ভব হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিদের্শ দিয়েছেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌছাতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে যেসব এলাকায় বিদ্যুতের লাইন পৌছাবে না, সেই জায়গায় বিনা পয়সায় প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌছাতে হবে। যার কারণে তিন জেলায় প্রায় ৪০ হাজার পরিবারকে বিনা পয়সায় ১০০ ওয়ার্ডে সোলার প্যানেল বিতরণ করা হবে। এই সোলার প্যানেলের সাহায্যে লাইট,মোবাইল চাজ,পাখা ও টেলিভিশন ইত্যাদি চালানো যাবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১১ হাজার পরিবারকে সোলার প্যানেল বিনা পয়সায় বিতরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। সুতারাং,পার্বত্য অঞ্চল এগিয়ে যাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দুই দশকের অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্যচুক্তি তথা শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। পাহাড়ের শুরু হয় শান্তির বাতারণ। শান্তিচুক্তির ধারাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই এলাকার আত্মসামাজিক উন্নয়নে স্থানীয় ও বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বারগতি অগ্রসর হওয়ার বাংলাদেশ এখন সারা বিশে^ উন্নয়নেররোল মডেল। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলওএতে পিছিয়ে নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন,সাংস্কৃতিক,পর্যটন উন্নয়নে বিকাশসহ নানাক্ষেত্রে এই অঞ্চলের উন্নয়ন ছোঁয়া দৃশ্যমান। পার্বত্য তিন জেলার উন্নয়নে রাস্তাঘাট,ব্রীজ কালর্ভাট,একটি বাড়ি একটি খামার, মসজিদ, মন্দির,খিয়াং, গির্জা অজস্র প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কারণে এখানে এই উন্নয়নগুলো চলছে। সুতারাং, হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এই পার্বত্য অঞ্চলে আত্মসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে,পার্বত্য এলাকার কৃষকেরা যাতে উন্নয়ন করতে পারে সেজন্য মিশ্র ফলের বাগান, বাঁশের চারা বিতরণ, নারীদের কল্যাণের জন্য গাভী বিতরণ, মশলা চাষ এবং কফি ও কাজু বাদাম চাষ প্রকল্পের তিন পার্বত্য জেলায় কৃষকদের মধ্যে বিনা পয়সায় চারা বিতরণ করে তাদের আওয়তায় আনা হবে।

পার্বত্য অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা ও পরিস্থিতি নিয়ে পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, সবচাইতে বড় কথা হলো, পার্বত্য এলাকার আইন শৃঙ্খলা উন্নয়ন করা, শান্তিকে বিরাজ করা এবং সম্প্রীতি বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করা। সম্প্রীতি,শান্তি,ঐক্য যদি ঐক্যজোট থাকে কোন সমস্যা আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। যতই সমস্যা আসুক সেই সমস্যা মোকাবিলা করে নতুন আলো দেখবো এবং উন্নতি পার্বত্য এলাকা দেখবো। পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যেক ছেলে-মেয়েকে সুন্দর পরিবেশ দিবো। যে পরিবেশের মধ্যে ছেলে-মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো মানুষ হবে। তারা দেশের জন্য বোঝা হবে না। তারাই হবে দেশের সবচাইতে সম্পদশালী। সেই পরিবেশ আমাদের সৃষ্টি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত ও সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখান। কিন্তু স্বপ্ন দেখেন একজনে বাস্তবায়ন করবো আমরা। আমরা কারা মানে আমাদের সন্তানেরা। সুতারাং, সংঘাত নয়,সন্ত্রাস নয়, আসুন মৈত্রীভাবনা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সন্তানদের মানুষ হওয়ার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করি।

অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে ১০০ জন অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে সনদ ও মেডেল তুলে দেন অতিথিরা। পরে ফানুস ও আতশবাজি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমের ৫দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব শেষ হয়।