[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ে কাজু বাদাম পর্যটন শিল্পপণ্য হিসেবে বেশ চাহিদা রয়েছে : নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা

৬১

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা,এনডিসি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বিগত ৩৫ বছর আগে পার্বত্য এলাকায় কাজু বাদাম চারা বিতরণ করেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে কাজু বাদাম চাষের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। কাজু বাদাম পাহাড়ের পর্যটন শিল্পপণ্য হিসেবে বেশ চাহিদা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটিস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী, সদস্য প্রশাসন ও সদস্য সচিব আশীষ কুমার বড়ুয়া (যুগ্মসচিব), সদস্য পরিকল্পনা ও সদস্য অর্থ ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী (উপসচিব), সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপসচিব), মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পের পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ হারুণ, বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা কাইংওয়াই ম্রো সহকারী সচিব (অ:দা:) মোঃ নুরুজ্জামান প্রমুখ।

বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অত্র এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের জনমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যে কাজু বাদাম চারা, কফি চারা, মিশ্র ফলজ চারাসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এসব কৃষি উপকরণ যথাযথভাবে ব্যবহার এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষিজ চারাগুলো ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। কাজু বাদাম পর্যাপ্ত উৎপাদন হলে বাণ্যিজিকভাবে কাঁচামাল সরবরাহসহ দেশের-বিদেশে কাজু বাদামের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী মানুষ খুব পরিশ্রমী। এখানকার পরিশ্রমী মানুষগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রান মান বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যঘাত সৃষ্টি না করে এলাকার উন্নয়নের জন্য সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষিখাতের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন কৃষিখাতে সাফল্যের বিপ্লব ঘটেছে। একসময় ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন শহরগুলোতে আমের দোকানে রাজশাহী আমকে সবাই চিনত। এখন দেশের বিভিন্ন শহরে পার্বত্য চট্টগ্রামের আম্রপালি আমকে চিনে। এছাড়া তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-প্রকৃতির অপার সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।

আলোচনা শেষে কাজু বাদাম উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।