পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১ এর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১” এর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৬ জানু) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোার্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী (অতিরিক্ত সচিব) এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের অবসর প্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন তরুণ কান্তি ঘোষ, সদস্য প্রশাসনের যুগ্ম সচিব আশীষ কুমার বড়ুয়া, সদস্য পরিকল্পনার উপসচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, সদস্য বাস্তবায়নের উপসচিব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ সহৃন্দ রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকসহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি-কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী বলেন, গত ২৮-৩০ ডিসেম্বর ২০২০খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি এমটিবি চ্যালেঞ্জ ২০২০ প্রতিযোগিতা সফল বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে গত বছরের ন্যায় এবছরও আগামী ১১-১৫ জানুয়ারি ২০২১খ্রি. তারিখ পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাঙ্গামাটির চিং হ্লা মং চৌধুরী মারি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় হতে ৫০ জন ও সমতল থেকে ৫০জন সর্বমোট ১০০জন যাদের বয়ন ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অ্যাডভেঞ্চারার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে।
সভায় জানানো হয়, অংশগ্রহণকারীদের রেজিস্ট্রেশনের তারিখ হতে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা সময় সীমার মধ্যে করোনা নেগেটিভ সনদ দাখিল এবং সফল বাস্তবায়নের জন্য আহবায়ক উপকমিটি’র দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অ্যাডভেঞ্চার উৎসবে নৌবিহার, কায়াকিং, ট্রি ট্রেইল/রোপ কোর্স, মাউন্টেইন বাইক, জিপলাইন, হাইকিং ও ট্রেইল রান, ক্যানিওনিং, ট্রেজার হান্ট, টিম বিল্ডিং, টিম অ্যাক্টিভিটি, ট্রেকিং, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ও কেভ ডিসকভারীইভেন্টসমূহ থাকবে। দেশের তরুণ ও যুবাদের মাঝে অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়া ও কার্যক্রমকে জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে তাদের মনে দেশপ্রেম, সাহস ও শৃঙ্খলাবোধ জাগিয়ে তোলা উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্য।