২ কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
শিক্ষার উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উন্নয়ন বোর্ড
একটি সময় গিয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে সবছেয়ে পিছিয়ে ছিল। এখানকার ছেলে মেয়েরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খেয়ে না খেয়ে পড়াশুনা করতে হয়েছিল। অভিভাবক মহল তাঁদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিল। শিক্ষায় এগিয়ে না যেতে পারলে ভবিষ্যৎ কি হবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষের সার্বিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বোর্ড গঠন করে উন্নয়নের ধারা সুচনা করে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সার্বিক উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে বোর্ড এর পাড়া কেন্দ্রই হলো শিক্ষা ব্যবস্থার পশ্চাতের অন্যতম আদ্যপান্থ। এক দুই করতে করেতে ধীরে ধীরে পাড়া কেন্দ্রের সংখ্যা এখন চার হাজার, শিক্ষার উন্নয়নের সর্বশেষ কেন্দ্রটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই উদ্বোধন করেন। এভাবেই গড়াতে গড়াতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বহু কুঁড়ে ঘরের সন্তানরাও আজ বিসিএস ক্যাডারসহ আরো উচ্চ শিক্ষার অধিকারী।
তবে এখনো দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। এ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও পার্বত্য জনপদকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের পাশাপাশি পার্বত্য এলাকার শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বিরাট ভূমিকা রেখেই চলেছে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে আজকের শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর পড়াশুনা যেন কারো জীবনের সার্টিফিকেট ভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ না হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে। গেল ১০ ডিসেম্বর (২০১৯-২০২০ অথর্ বছর)কে সামনে রখে মেধাবী, গরীব ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীকে তিন পার্বত্য জেলার সন্তান যারা মেধা নিয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশুনা করছেন তাদের শিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে ২(দুই) কোটি টাকা। উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়াদের শিক্ষার উন্নয়নে যে অবদান রেখে চলেছে তা প্রশংসাও কুড়িয়ে নিচ্ছে। সেই সাথে আত্ম-সামাজিক উন্নয়নে কৃষিকাজ থেকে শুরু করে নানান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে শুধু উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নয় তাদের সহায়তা করতে উপকারবোগী সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু গড়া এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে হবে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য, উন্নয়নের জন্য।