দুঃখ এবং পাপকে ডেকে এনো না যা জন্ম জন্মান্তরে ভোগ করতে হবে
ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথের এর জুরাইছড়ি সফর বাতিল
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
আগামী ২৮ ডিসেম্বর জুরাইছড়িস্থ গুইছড়ির সফর বাতিল করেছেন দেব মানব পুজ্য অরণ্য বিহারী, শ্মশানচারী, ত্রি-চীবরধারী পাংশুকুলিক ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথের। বৌদ্ধ সামাজের দায়ক-দায়িকাগন ভান্তে (ভিক্ষু)কে আমন্ত্রণ করলেও তাঁদেরকে নানান ভয়ভীতি দেয়ার কথা জানতে পারলে এ ধুতাঙ্গ সাধক তাঁর সফর বাতিল করেন বলে বান্দরবানস্থ আর্যগুহা বিমুক্তির বিহার এর দায়কা-দায়িকা ও ভিক্ষু সংঘ সুত্র শুক্রবার বিকালে জানিয়েছেন।
এসব সুত্রগুলো জানান, সম্প্রতি রাঙ্গামাটি জেলার জুরাইছড়ির উপজেলার বৌদ্ধ সমাজের দায়ক-দায়িকাগণ বান্দরবানস্থ আর্যগুহা বিমুক্তি বিহারে গিয়ে দেব মানব পুজ্য অরণ্য বিহারী, শ্মশানচারী, ত্রি-চীবরধারী পাংশুকুলিক ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মাহাথের-কে ফাং (আমন্ত্র) করেন। পরে দায়ক-দায়িকাগন উপজেলায় ফিরে যান। কিন্তু ধুতাঙ্গ সাধককে ফাং (আমন্ত্রণ) করার কারনে সেখানকার দায়ক-দায়িকাগণকে কিছু প্রতিহিংসা পরাভুত অপ শক্তি ভান্তেকে না নেয়ার জন্য হুমকী প্রদান করা হয়েছে বলে ভিক্ষু সংঘ সুত্র জানান। তবে উপজেলার দায়ক-দায়িকাগন ভান্তের সফর বিষয়ে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জটিলতার কারনে আমন্ত্রন বাতিলের জন্য শুক্রবার ধুতাঙ্গ সাধককে প্রার্থনা জানান, এবং তারা পরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আর্যগুহা বিমুক্তি বিহারে করার জন্যও প্রার্থনা করেন। পরে ধুতাঙ্গ সাধক সেই আমন্ত্রণও গ্রহন করেন।
এসময় ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মাহাথের দায়ক-দায়িকার উদ্দেশ্যে বলেছেন, রাজনৈতিক দল বলুন, জেএসএস বলুন কারো প্রতি আমার ক্ষোভ নেই বরং আমি তাঁদের আর্শিবাদ করছি তারাও যেন সুখে শান্তিতে থাকে। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার প্রসারে দায়ক-দায়িকাগনকে অত্যাচার এবং ধর্মপালনে বাঁধা দেয়া হলে তা হবে ভুল এবং চরম পাপ। এখানে আমার কিছুই নেই। আমি মানুষের কল্যাণে ও দুঃখ মুক্তির জন্য আশির্বাদ করতে পারি কিন্তু বিপরীততো করতে পারি না। আর কেউ পাপকে সমর্থন করিও না, তবে কেউ দুঃখ এবং পাপকে ডেকেও এনো না যা জন্ম জন্মান্তরে ভোগ করতে হবে।
অপর দিকে বান্দরবানের বেশ কিছু দায়ক-দায়িকাগন জানিয়েছেন, দেব মানব পুজ্য অরণ্য বিহারী, শ্মশানচারী, ত্রি-চীবরধারী পাংশুকুলিক ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথের এর সফর বাতিল মানে বৌদ্ধ সমাজকে এই মহা পুরুষের আর্শিবাদ থেকে বঞ্চিত করা হলো। যোগাযোগ মাধ্যমে কথা হলে ধূতাঙ্গ সাধক না যাওয়ার কথা শুনে সেখানে অনেক দায়ক-দায়িকা কান্নাও করছেন। এই পুর্নাথিদের উপর কেউ বা কারো দ্ধারা যদি জোর করে পাপ চাপিয়ে দেয়া হয় তার দায়তো তাঁদেরও নয়। এসব দায়ক-দায়িকাগন আরো বলেছেন, একজন ধূতাঙ্গ সাধক সর্বোচ্চ শিক্ষা ডক্টরেট ডিগ্রী গ্রহন করে বৌদ্ধ এবং মানব সমাজের দুঃখ মুক্তির জন্য নিজেকেও ত্যাগ করেছেন সেখানে এই পরম পুজনীয় ভিক্ষুর পাবার কিছু নেই, অথচ তাঁর কাছ থেকে ভোগী সমাজের দুঃখ মুক্তির জন্য অনেক কিছুই পাবার আছে। দায়ক-দায়িকাগনের কেউ কেউ বলেছেন, ধূতাঙ্গ সাধকসহ তাঁর ভিক্ষু সংঘের উপর প্রতিহিংসা পরায়নরাই চলমান সব বাঁধা সৃষ্টি করে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর কাঁধে তুলে দিচ্ছেন। তারা এসব নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ও আইনসৃংখলা বাহিনীকেও বেকায়দায় ফেলছেন এবং মিথ্যা দৃষ্টি এবং পরিস্থিতি সৃষ্টি করাচ্ছেন।