তামাক চাষীদের বিকল্প জীবিকায়ণের লক্ষে বীজ বিতরনী অনুষ্ঠানে বক্তারা
হালদা নদী রক্ষার্থে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন
॥ মানিকছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। নদী থেকে পোনা আহরণের নজির থাকলেও হালদা ছাড়া বিশে^র আর কোনো নদী থেকে ডিম আহরণের নজির নেই। অথচ হালদা নদীর জন্য ক্ষতিকর অন্তত ১০টি কারণ চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। তার মধ্যে হালদা নদীর তীরবর্তি এলাকা গুলোতে তামাক চাষ অন্যতম। তাই হালদা নদী রক্ষা করতে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যাতে করে হালদা তার পূর্বের রূপ ফিরে পেতে পারে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার হালদার পাড় খ্যাত গোরখানা শাহানশাহ হক ভান্ডারী সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউনন্ডেশ (আইডিএফ) এর বাস্তবায়নে ও পল্লী কর্ম-সংস্থান ফাউন্ডেশন’র সহযোগিতায় হালদা নদীতে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় তামাক চাষীদের বিকল্প জীবিকায়ন সৃষ্টির লক্ষে বীজ বিতরণ ও কৃষি সমাবেশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন
বক্তারা আরো বলেন, তামাক চাষাবাদের ফলে স্থানীয়দের পাশাপাশি হালদা নদীর পানি দূষণসহ মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। যার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী।
এসময় উপজেলা প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ। প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আসমা, কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলঅম মজুমদা, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুচয়ণ চৌধুরী, আইডিএফ’র হালদা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ সজীব হোসেন, মৎস্য মাঠ সহকারী মিলন বিকাশ চাকমা, হালদা প্রকল্পের জুনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও জুনিয়র কৃষি কর্মকর্তা থুইঅংপ্রু মারমা প্রমূখ।
পরে ২৫ জন কৃষকের হাতে ১০কেজি করে বাদাম বীজ তুলে দেয়া হয়। পরে অতিথি’রা ইতোপূর্বে সৃজিত ফল-ফলাদির বাগান ও সবজি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।