৬ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির একটি ঐতিহাসিক দিন
এরশাদ প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারার শাসন ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ১০ বছরের সোনালী অধ্যায় ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার মানুষের উন্নয়নের ধারা স্বচক্ষে অনুধাবন করেছেন বলে পল্লী বন্ধু আখ্যায়িত করেছেন। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবিধান সংরক্ষণ দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি জনাব হারুনুর রশিদ মাতব্বর, সভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য বাবু প্রজেশ চাকমা, প্রধান বক্তা সিনিয়র সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য জনাব আরফান আলী, সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি জনাব লেহাজ উদ্দিন সরদ্দার সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুশান্ত দেওয়ান, বাবু বিটু দেওয়ান, বাবু সুদীর্ঘ চাকমা, দপ্তর সম্পাদক বাবু সমীরন বড়ুয়া, জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়িকা ফাতেমা আক্তার রুমা, মুক্তিযুদ্ধা সম্পাদক জনাব আব্দুল মালেক সওদাগর জনাব মোঃ শরিফ,প্রচার সম্পাদক বাবু পলাশ চাকমা, তথ্য সম্পাদক ছন্দ সেন চাকমা, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক দীপক চাকমা, জেলা নেতৃবর্গ বাবু দিলীপ বড়ুয়া, বাবু স্নেহ বিকাশ চাকমা, বাবু মান বিকাশ চাকমা, বাবু জগদীশ চাকমা, বাবু মিলন চাকমা, সদর পৌর কমিটির নেতৃবর্গের পক্ষে বাবু লক্ষী রঞ্জন চাকমা বাবু তরুন কান্তি চাকমা, বাবু রিন্টু চাকমা, বাবু প্রভাকর চাকমা, বাবু অপরিসিম চাকমা, বাবু বিক্রম চাকমা, বাবু তরুন কান্তি চাকমা, বাবু প্রভাকর চাকমা।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনেই দেশ ও জাতির স্বার্থে হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তাহার শাসনামলে ১৯৮৬ সালে ১১ নভেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ বছর তাহার ক্ষমতাকালীন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা সুসংহত রাখার জন্য এরশাদ প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারার শাসন ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন। এরই কারণে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর সংবিধান সংরক্ষণ দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয়। হুইসেন মোহাম্মদ এরশাদের ১০ বছরের সোনালী অধ্যায় ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার মানুষের উন্নয়নের ধারা স্বচক্ষে অনুধাবন করেছেন বলে পল্লী বন্ধু আখ্যায়িত করেছেন। আলোচনা সভায় শহিদ নুর হোসেন ও ডাক্তার মিলন হত্যার বিষয়ে হুইসেন মোহাম্মদ এরশাদ এর সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই বরংঞ্চ তার শাসন পতনের জন্য পরিস্থিতি স্বীকার হয়েছেন।
আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি জেলা যুগ্ম সম্পাদিকা মিসেস নাছিমা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা গত (০১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অকালে ১১.০০ ঘটিকার সময় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ব্লার্ড ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পবিরারের প্রতি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে গভীর সমবেধনা জানান এছাড়াও সদ্য প্রয়াত জেলা সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় সদস্য মিসেস কবিতা ত্রিপুরার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।