[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নেই সেতু,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার

৮৮

॥ রিপেন চাকমা,জুরাছড়ি ॥

রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার ২নম্বর বনযোগীছড়া ইউনিয়নের চকপতিঘাটের কাছে শলক খালের ওপর সেতু নেই। খালটির ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নিজ উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে জুরাছড়ি সদর থেকে বনযোগীছড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। নড়বড়ে এই বাঁশের বৃদ্ধ ও ছেলে-মেয়েদের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ছাড়া চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় বাঁশের সাঁকো নিয়েই যেন তাদের জীবন আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই খাল পারাপার হয় পথচারীরা। এছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে সবজি নিয়ে এসে কৃষকেরা সাঁকো পার হতে ভোগান্তির শিকার হন। সাঁকোটির পাশেই প্রাইমারি বিদ্যালয়। ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে খাল এপার-ওপারে যেতে হয়। যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থ মানুষকে নিয়ে আসতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

চকপতিঘাট গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ জিতেন্দ্র চাকমা জানান, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় স্বেচ্ছাশ্রমে এই বাঁশের সাঁকোটি নিমার্ণ করে চলাচল করছেন। তাদের ভোগান্তি কেউই দেখতে আসেন না। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদালয়ে আসা-যাওয়া করছে। এছাড়াও কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তাদের এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে?

একই গ্রামের আরও একজন বৃদ্ধ লোক কালাচান চাকমা জানান, এই বাঁশের সাঁকোটি গ্রামের লোকজন কষ্ট করে নির্মাণ করে থাকেন। কিন্তু বর্ষার মৌসুম আসলে পানিতে ভেসে যায় তাদের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম বাঁশের সাঁকোটি। এরপর চলাচলের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। তাই চলাচলের সুবিধার্থে সরকারিভাবে একটি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন তিনি।

জুরাছড়ি উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী মিসেস মিতা চাকমা জানান, গ্রামবাসীর দাবি সরকারি উদ্যোগে সেতুটি নির্মাণ করা হলে ৫ থেকে ৬ হাজার জনগণ উপকৃত হবে। তাই সরকারিভাবে জনগণের স্বার্থে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে সরকারের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

২ নম্বর বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা চাকমা জানান, বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আমতলী এবং চকপতিঘাট এলাকাবাসী তাদের স্ব-উদ্যোগে নির্মাণ করে আসছে। এই সাঁকো দিয়ে আমতলী, চকপতিঘাটসহ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। এখানে সেতু না থাকায় চলাচলের জন্য খুবই অসুবিধা হয় গ্রামবাসীর। তাই এলাকার জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সুদৃষ্টি কামনা করেন।