[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকার বিহার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছেক্যান্সারে আক্রান্ত ঋতুপর্ণা চাকমার ‘মা’ অর্থের অভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে নাপানছিড়িতে ভেজা চোখে রাজকীয় বিদায় জানালেন মসজিদের ইমামকেখাগড়াছড়ির রামগড়ে চোলাইমদ সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতাররাঙ্গামাটির বাঙ্গালহালিয়া খাল ঐতির্হ্যের নীরব সাক্ষী, অথচ দখলে দূষণে বিপর্যস্তকাপ্তাই এর কৃষক দিদার আলমের সন্ধান মেলেনি এক মাসেওসুজন এর নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সভাপতি উত্তম, সম্পাদক বিনয়লংগদু উপজেলা পর্যায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হলদে পাখি’ মতবিনিময়নাইক্ষ্যংছড়িতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ৫ লাখ টাকার সেগুন কাঠ জব্দনাইক্ষ্যংছড়িতে ১০হাজার পিস ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

করোনায় আমেজ নেই কঠিন চীবর দান উৎসবের

৩৯

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

প্রতিবছর রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে জাঁকজোঁমকভাবে দুই দিনব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব পালিত হলেও এবছর মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে আমেজ ছাড়া সংক্ষিপ্ত পরিসরে দিনব্যাপি ৪৭তম কঠিন চীবরদান উৎসব পালন করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে থেকে এ আমেজহীন উৎসব পালিত হয়। প্রতিবছর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে, সূতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হলেও করোনার কারণে ক্রয়কৃত চীবর দিয়ে পূণর্থ্যা এই উৎসব পালিত হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাজবন বিহারের কার্যকরী কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে, সূতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান। পার্বত্য এলাকার বৌদ্ধরা এ উৎসব পালিত হয় প্রাচীন নিয়মে। প্রাচীন নিয়ম মতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উৎসর্গ করা হয়।

বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে, দীর্ঘ আড়াই হাজার বছর পূর্বে গৌতম বুদ্ধের উপাসিকা বিশাখা ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরীর প্রচলন করেছিলেন। প্রতি বছর আষাড়ী পূর্ণিমা থেকে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সাল থেকে বুদ্ধের উপাসিকা বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে ৪৭ বছর ধরে কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরমতে, জগতে যত প্রকার দান রয়েছে তার মধ্যে এ চীবর দানই হচ্ছে সর্বোত্তম দান। রাতে রাজবন বিহারে ফানুষ উড়িয়ে শেষ হবে এ কঠিন চীবর দান উৎসব