[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
শিক্ষার উন্নয়নে সকলকে অগ্রণী ভুমিকা রাখার আহবান: রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকলংগদুতে সেনা জোনের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধাররাজস্থলীতে জাতীয় মৌসুমি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি সভামাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় নবাগত শিক্ষকদের বরণবান্দরবানের লামায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২রামগড়ে পানিতে ডুবে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যুলোকনাথ ব্রহ্মচারী যোগাশ্রম মন্দির পরিচালনায় গঠিত কমিটি ১১মাসের মাথায় বিলুপ্তরাঙ্গামাটিতে মেধা ও যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেল ৮ জনরাঙ্গামাটিতে কলা গাছের তন্তু দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মাশরুম উদ্ভাবন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

করোনায় আমেজ নেই কঠিন চীবর দান উৎসবের

৩৯

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

প্রতিবছর রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে জাঁকজোঁমকভাবে দুই দিনব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব পালিত হলেও এবছর মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে আমেজ ছাড়া সংক্ষিপ্ত পরিসরে দিনব্যাপি ৪৭তম কঠিন চীবরদান উৎসব পালন করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে থেকে এ আমেজহীন উৎসব পালিত হয়। প্রতিবছর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে, সূতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হলেও করোনার কারণে ক্রয়কৃত চীবর দিয়ে পূণর্থ্যা এই উৎসব পালিত হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাজবন বিহারের কার্যকরী কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে, সূতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান। পার্বত্য এলাকার বৌদ্ধরা এ উৎসব পালিত হয় প্রাচীন নিয়মে। প্রাচীন নিয়ম মতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উৎসর্গ করা হয়।

বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে, দীর্ঘ আড়াই হাজার বছর পূর্বে গৌতম বুদ্ধের উপাসিকা বিশাখা ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরীর প্রচলন করেছিলেন। প্রতি বছর আষাড়ী পূর্ণিমা থেকে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান করতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সাল থেকে বুদ্ধের উপাসিকা বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে ৪৭ বছর ধরে কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরমতে, জগতে যত প্রকার দান রয়েছে তার মধ্যে এ চীবর দানই হচ্ছে সর্বোত্তম দান। রাতে রাজবন বিহারে ফানুষ উড়িয়ে শেষ হবে এ কঠিন চীবর দান উৎসব