পাহাড়ে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে : পার্বত্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সচিব
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সফিকুল আহম্মদ বলেছেন, পাহাড়ে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এ উদ্দেশ্যে সাজেক থেকে থানচি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এ এলাকার পর্যটন সম্ভাবনাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতিকরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিষদের কর্মকর্তা/কর্মচারি এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব সফিকুল আহম্মদ বলেন, পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে এ অঞ্চলের চাহিদার সাথে মিল রেখে প্রকল্প নেওয়া হবে। বাংলাদেশের এক দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি, মৎস্য এবং প্রাণীসম্পদ চাষে বৈচিত্র্য এনে বাংলাদেশের অন্য এলাকার চাহিদা পূরণে কর্মকর্তা এবং গবেষকদের নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে হবে। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলি এলাকার উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন জেলা থেকে ডেপুটেড কর্মকর্তারা এখানে জেলা পরিষদের অভিভাবকত্বে বদলী হয়ে কাজ করতে আসে। তারা যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে এ ধরনের কর্মপরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলির উপরে অফিসের আর একটি স্তর। পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মন্ত্রণালয়ের সাথে যেকোন বিষয়ে আলোচনা, পরামর্শ বা সহযোগিতা ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
এসময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, কৃষি বিভাগের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃঞ্চ প্রসাদ মল্লিক, বিসিকের এজিএম মোঃ মুনতাসির মামুন, ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ দেবরাজ চাকমা, হর্টিকালচার বিভাগের উপপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জব্বার, জেলা ক্রীড়া অফিসার স্বপন কিশোর চাকমা, সহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হোসেন, প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা, জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা, জেলা কালচারাল অফিসার অনুসিনথিয়া চাকমা, উপ সহকারি প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা রতন কুমার দে, নার্সিং ইনষ্ট্রাক্টর সীমা মন্ডল, আর পি টিআই এর অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমান, জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে, পরিবার পরিকল্পনার ডাঃ বেবী ত্রিপুরা, সহকারি লাইব্রেরীয়ান সুনীলময় চাকমা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক রূপক কুমার বড়ুয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন, পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ পরিষদের কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।