[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৪৫

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলার জনসংহতি সমিতির অফিস কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে স্মরণ করেন নেতাকর্মীরা।

এসময় পুষ্পস্তবক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সা থোয়াই মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য ডাঃ গঙ্গামানিক চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিতা চাকমা, বরকল উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মনি চাকমাসহ অন্যান্য নেতাকর্মী। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির অঙ্গ সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ,যুব সমিতি,মহিলা সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) স্মরণে দুই মিনিট নিরবতা পালন করেন নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলেও এবারে করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় সময়ে নেতার স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হবে।

 

উল্লেখ্য, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এমএন লারমা) ১৯৩৯ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের মহাপ্রুম নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। তার তিন ভাই ও এক বোন। তার পিতা ছিলেন চিত্ত কিশোর লারমা ও মাতা শুভাষিনী দেওয়ান। এমএন লারমার ছোট ভাই বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)। তিনি ১৯৬০ সালে কাপ্তাই জল বিদ্যূৎ প্রকল্পের তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতা অভিযোগ এনে তাঁকে ১৯৬৩ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতার করা হন। প্রায় দুই বছর জেলে রাখার পর ১৯৬৫ সালে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তিনি ১৯৬৫ সালে ১৮ জুন পার্বত্য ছাত্র সমিতি নামে একটি সংগঠন গঠন করেন। ১৯৭০ সালে এমএন লারমা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন। ঠিক সেই বছরে পাকিস্তান প্রদেশিক পরিষদে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করেন। প্রথমে তিনি সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসনের নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পথ পরিবর্তন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রাধিকার আদায়ের লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক উইনিং ‘শান্তিবাহিনী, নামে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৮২ সালে ২৪ জুন জনসংহতি সমিতির দ্বিতীয় সম্মেলনের পর আদর্শগত ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে জনসংহতি সমিতি শেষ পর্ষন্ত দ্বিধাবিভক্ত হয়। এর পরপরই ১৯৮৩ সালের ১৪ জুন মাসে সর্ব প্রথম লারমা গ্রুপ (লম্বা)ও প্রীতি গ্রুপ (বাদি) পরস্পর সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা ভারত সীমন্তবর্তী এলাকায় বিভেদপন্থীর হামলায় তার আটজন সহযোগীসহ তাঁর মৃত্যু হয় ।