[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

৪৫

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলার জনসংহতি সমিতির অফিস কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে স্মরণ করেন নেতাকর্মীরা।

এসময় পুষ্পস্তবক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সা থোয়াই মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য ডাঃ গঙ্গামানিক চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিতা চাকমা, বরকল উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মনি চাকমাসহ অন্যান্য নেতাকর্মী। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির অঙ্গ সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ,যুব সমিতি,মহিলা সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) স্মরণে দুই মিনিট নিরবতা পালন করেন নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলেও এবারে করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় সময়ে নেতার স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হবে।

 

উল্লেখ্য, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এমএন লারমা) ১৯৩৯ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের মহাপ্রুম নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন। তার তিন ভাই ও এক বোন। তার পিতা ছিলেন চিত্ত কিশোর লারমা ও মাতা শুভাষিনী দেওয়ান। এমএন লারমার ছোট ভাই বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)। তিনি ১৯৬০ সালে কাপ্তাই জল বিদ্যূৎ প্রকল্পের তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতা অভিযোগ এনে তাঁকে ১৯৬৩ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতার করা হন। প্রায় দুই বছর জেলে রাখার পর ১৯৬৫ সালে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তিনি ১৯৬৫ সালে ১৮ জুন পার্বত্য ছাত্র সমিতি নামে একটি সংগঠন গঠন করেন। ১৯৭০ সালে এমএন লারমা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন। ঠিক সেই বছরে পাকিস্তান প্রদেশিক পরিষদে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করেন। প্রথমে তিনি সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসনের নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পথ পরিবর্তন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রাধিকার আদায়ের লক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক উইনিং ‘শান্তিবাহিনী, নামে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৮২ সালে ২৪ জুন জনসংহতি সমিতির দ্বিতীয় সম্মেলনের পর আদর্শগত ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে জনসংহতি সমিতি শেষ পর্ষন্ত দ্বিধাবিভক্ত হয়। এর পরপরই ১৯৮৩ সালের ১৪ জুন মাসে সর্ব প্রথম লারমা গ্রুপ (লম্বা)ও প্রীতি গ্রুপ (বাদি) পরস্পর সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা ভারত সীমন্তবর্তী এলাকায় বিভেদপন্থীর হামলায় তার আটজন সহযোগীসহ তাঁর মৃত্যু হয় ।