পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৩৮
ইয়াবাতো পিঁপড়ার মতন দৌড়াইতেছে, দেশের পাবলিক ব্যংকগুলাইনে কড়া নজর।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও অবাধ্য জীবানু করোনার অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৩৮ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো….
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো আমি অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদ দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। পাহাড়ের অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাজের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’জননীগো দেশব্যপী নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনায় বহুত মা-বোন ঘুঁঘড়িয়া কান্দিতেছে। নোয়াখালীতে আর কত নারী ধর্ষণ হত্যার শিকার হইবে দাদু-দিদিরা প্রশ্ন তুলিতেছে। আইনতো কঠোর করিয়াছেন তয় জাতীরে যারা কলঙ্ক করিতেছে তাগোর শাস্তিও দ্রুত করেন। নারীদের টানা হেঁছড়া করিয়া কপাল ফাটাইয়া, নির্যাতন চালাইয়াছে তাঁগোরে কলার চাপিয়া ধরেন। ননদ-ভাবিকে ধর্ষণ করিয়া পাবনার ইশ্বরদিতে পঞ্চাশ হাজার টাকায় মিমাংশা ফ৭াস হইয়াছে। আমাগো বহুত পোড়াকপাইল্লা কহিলো স্বাধীনতা অর্জনের সময় হায়নারও পলাইতে বাধ্য হইয়াছে। মা’গো সময় কিন্তু গড়াইয়া যাইতেছে শক্ত করিয়া ধারা বাস্তবায়ন করিতে ওয়ার্ডার দেন।
মা’রে শীতেতো করোনার আস্ফালন বাড়িয়া যাইবে বলিয়া দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরা ডরে ভয়ে মরিতেছে। আমাগো মাজিস্ট্রেট দাদুরা স্বাস্থ্য বিধি মানিতে ওয়ার্ডার লইয়া নগরে নগরে ঘুরিলেও অসৎ দাদু-দিদিরা কোনডাতেই মন লাগাইতেছেনা। শীত পার করিতে প্রশাসনরে শক্ত হইতে আদেশ করিবেন। ভারত-বাংলাদেশ বিমান চালু কেন জানি ডর ডর লাগিতেছে। করোনা জয়ে টিকা আসিতে আসিতে দাদু-দিগোর লাগাতার টুঁটি চাপিয়া ধরিবে কিনা সন্দেহ হইতেছে। বান্দরবানেও যাইয়া দেখিয়াছি শতে নব্বই জনেরও মাস্ক নাই, স্বাস্থ্য বিধির বালাইও নাই। করেনার মৃত্যু দেশেতো সাত হাজার ছুঁই ছুঁই হইতেছে।
মা’গো সেলিম পুত্র দেশে কুটি কুটি দাদু-দিদিরে যা দেখাইয়াছে। ইরফানের আস্ফালন দেখিয়া দেশে বিজ্ঞজনেরা চোখতো কপালে তুলিয়াছে। এইসব কুপুত্রের সংখ্যাতো তলে তলে বাসা বাঁধিয়াছে। ইরফান দুই আনার কমিশনার হইয়া যেইভাবে মেশিন পত্র লইয়া বসিয়াছে তাহাতেতো বহুত তথ্যও ফাঁস করিয়াছে। নিয়মিত সেটেলাইট বসাইয়া অপকর্ম করিয়াছে। অপকর্মে বখরা খেকোদের লেজগোজ বাহির করেন। সেলিম দাদুর আকামওতো দেশের সম্মান হানি করিয়াছে। তাইনেওতো চরম ভুমিদস্যুর খেতাব কপালে লাগাইয়াছে, যেই বাপ হেই বেটা। এই অসৎ বেহায়াদের কাছে দেশ আর দল কোনডাই নিরাপদ নয়গো মা। নিজ স্বার্থ হাসিলে নেতা-নেতৃত্বেরও বিসর্জন দিয়া বসিবে। মা’রে যারে একবার কুমিরে খায় হেতো ঢেঁকি দেখিলেও ভয় পায়। এইসব বদমায়েশের তালিকা ধরিয়া একটা একটা করিয়া টুঁটি চাপিয়া ধরেন, এই পোড়া কপাইল্লারও তাই মনে হইতেছে, বিষয়খানা ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’রে কিছু পুলিশের আকামেতো দুর্নাম গোছানো যাইতেছেনা। ধর্ষণ, বিয়ের প্রলোভন, নির্যাতনে বহুতে এডভাঞ্চ হইয়াছে। রংপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় এএসআই রায়হানুল রিমান্ডে। সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু উদঘাটনে নানান কিসিমের বাঁধা দাঁড় হইয়াছে। মেজর অব সিনহা হত্যার ঘটনার দ্রুত বিচারের দিকে খেয়াল রাখিবেন। আমাগো আইজি দাদুরে কঠোর হইতে আদেশ করিবেন। মা’গো দেশে ইয়াবাতো পিঁপড়ার মতন দৌড়াইতেছে। নতুন করিয়া মাদক ‘আইস’ বিদজনক বলিয়া কহিলো মাদক অধিদপ্তর। ধরাপড়াদের হ¹ল আস্তানা ধ্বংস করিতে দ্রুত অভিয়ান চালনের ওয়ার্ডার দেন। বান্দরবান পাহাড়েরও ইয়াবার বড় বড় চালান দুই লাখ পিস ধরা পড়িয়াছে। সীমান্তের পারে কু-কর্মের পল্লা ভারি হইয়াছে। আমাগো বাহাদুর দাদুর চোখ ফাঁকি দিয়া বহুতে তালগোল পাকাইতেছে বলিয়া হুনিলাম, ঐ পাহাড়ে উকুন মারিতে চিরুনী চালনের দরকার।
মা’গো ব্যংক হইতে দেশের দাদু-দিদিরা হিসাব ক্লোজড করিয়া বসিবে। আমজাদ দাদু সাউথ-বাংলার চেয়ারমন হইয়াছে লুটপাট করিতে। আমজাদের হাজার কুটি টাকা ঋণ ছুঁই ছুঁই। ব্যটা ফকিরের বাচ্চা দেশের লক্ষ লক্ষ দাদু-দিদির বিশ্বাস লইয়া ছলচাতুরির আশ্রয় লইয়াছে। এত্ত টাকা লইয়া তাইনের উদ্দেশ্য কি। কোথায় টাকা পাচার করিতেছে। দেশকে তো এই চোরের দল মার্কামারা দূর্নীতির দেশে পরিনত করিয়া ছাড়িবে। আপুনি আয় বাড়াইলেও আরো বহুতেই দেশের দাদু-দিদিগোর টাকা লইয়া বিদেশে পচার করিয়াছে। দেশের পাবলিক ব্যংকগুলাইনে কড়া নজর দিতে আমগো অর্থ মন্ত্রীরে আদেশ করিবেন। এনু-রূপন, ক্যাসিনো সম্রাটগোর নতুন করিয়া পুত্রিকায় ক্যারমের পরিবর্তে ক্যাসিনোর ছবি।
মা’গো রহমান দাদু কহিলো, দেশে নাকি ইসরাইলি অস্ত্র ঢুকিয়াছে। এইসব অস্ত্র অবৈধভাবে চালান হইয়া সন্ত্রাসী আর জঙ্গির হাতে যাইতে পারে বলিয়া শঙ্কা প্রকাশ করিয়াছে আমাগো গুরিন্দা সংস্থা। এই সবের পিছনে কারা তার তথ্য তালাশ দ্রুত বাহির করিতে ওয়ার্ডার দেন। আপুনি অপশক্তি সাফ করিলেও তলে তলে বহুতে বাসা বাঁধিয়া রাখিয়াছে। দেশের স্থল আর নৌ পথের সীমান্তের কঠোর নজর রাখিতে আদেশ করিবেন। লাল মনির হাটের পাটগ্রামে কোরান অবমাননার অপবাদে মসজিদে যুবক পিটাইয়া হত্যার পর আগুনে পোড়ানোর ঘটনার পিছনেতো বহুত গন্ধসন্ধ বাহির হইতেছে। তলে তলে হেইখানে অপশক্তি পাকাপোক্ত হইয়াছে বলিয়া কানাঘুষো হইতেছে। আপুনার ঘরেও বাইরের ইঁদুর বাসা বাঁধিয়াছে। মা’গো খেয়াল রাখিতে হইবে যারা পিছনের দরজা দিয়া ঢোকে তারা ফন্দি লইয়া ঢোকে। এই পিছনের দরজার গুষ্টিই বঙ্গবন্ধুরে হত্যা করিয়া জাতিরে কলঙ্ক করিয়াছে।
মা’রে আমাগো পাহাড়ের মাদার ডিস্ট্রিক্টেও আওয়ামীলীগ সহ অংগ সংগঠনে নাকি অনুপ্রবেশ দল ভারি হইয়াছে। ছাত্র লীগ যুবলীগ রগ কাটাকাটি লইয়া মামলায় জড়াইয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিরে আদালত গ্রেফতার করিতে ওয়ার্ডার করিয়াছেন। ছাত্রলীগের অছাত্র এক মটকু দাদু কহিলো মহা এই লীগে নাকি বিএনপি-জামাত-শিবির শতের অধিক অনুপ্রবেশ হইয়াছে। বাকী গুলাইনেরও হেই একই অবস্থা। যুবলীগের ধাপ্পাবাজরা খালি অপকর্মের খাপ্পা মারিয়া থাকে। উন্নয়নের নামে নগদেও হরিলুট সম্পদেও লুট হইতেছে। শহরের আলী দাদুতো কহিলো অপরিকল্পিত প্রকল্পে কুটি কুটি টাকার নষ্ট করনের হেতু কি। শহরের তবলছড়ির আসামবস্তীর মধ্যখানের নদী উদ্ধার করিতে ভুমিদস্যুর উপর রোলার চালাইতে আদেশ করিবেন। ২০১৭ সালে ঘাগড়ার শালবাগানে পাহাড়+রাস্তা ধসিয়া মাটি না ভরাইয়া কুটি টাকার ব্রীজ করিয়া টাকা নষ্টের হেতু কি। হেইখানে রাস্তাও আছে ব্রীজও আাছে নতুন করিয়া ব্রীজ করনের হিসাব মিলিতেছেনা, এই কি তাইজ্জব কান্ডরে মা, ছুম ছুম মাটি কাটিয়া আবার ব্রীজ করনের কাম কি।
মা’রে আমাগো দুদুক কমিটির এক দাদু কহিলো মাদার ডিস্ট্রিক্টেও ডজনের উপরে লুটেরাগুষ্টি অন্তত কয়েক কুটি টাকার মালিক। তাইনেগোর বিরুদ্ধে নালিশে নালিশে ফাইলও মোটা হইয়াছে। ডরে ভয়ে বহুতে ঘাটে ঘাটে মালিশ চালাইতেছে। আমাগো ফুজ দাদু কহিলো আমামীলীগের বহুতে আলদ্বীনের চেরাগ পাইয়াছে। শত্রু পক্ষ অনুপ্রবেশ হইয়া লম্ব লম্বা শুঁই চারাইতেছে। তয় পৌরসভার নির্বাচনের হয় আগেই, নয় মধ্য খানে কান ধরিয়া টান দিতে আদেশ করেন। দলের পল্লা ভারি করিতে হইলে যারা অন্যের দ্ধারা প্রভাবিত হইয়া নেতৃত্ব দিতাছে তাঁগোর লেজ গুটাইতে আদেশ করেন। নিজেগোর শিতান পইতানের ঠিক নাই, স্পিকার পাইলেই খালি জনসংহতি সমিতি আর শন্তু লারমার বিরুদ্ধে মাইক ফাটাইয়া সভাস্থল গরম করিয়া রাখে। জেএসএস’র বিরুদ্ধে আর কতো কহিলে নিজেগোর নেতৃত্ব-কতৃত্ব অন্যের কাঁধে ভর করিবে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের রাজনীতি,কুটনীতি লইয়া ভাবেন।
মা’রে পৌরসভার চেয়ারে বসিয়া গেল পাঁচখানা বছর কি কাম করিয়াছে তা লইয়া কুইশান চলিতেছে পাক্কা হুনিতেছি তাইনে ছাড়া নাকি দলের কেউই নমিনিশন পাইবে না। তয় ভাবিয়া করিও কাইজ করিয়া ভাবিওনা কথাডা মনে রাখিতে হইবে। বান্দরবন পাহাড়েও নাকি গোটা শহরে ময়লা আবর্জনায় শিতান পইতানও টিক নাই। খাগড়াছড়ি পৌরসভার রফিক দাদুরে লইয়াও ঠেঁসগুতো চলিতেছে। তয় তাইনের কিছু কিছু কাইজ কাম ভালার তালিকায়। কুজেন দাদুতো হেই একই অবস্থা। এই পাহাড়েও তালিমালির বিষয় আশয় খোঁজ লইতে সেতু দাদুরে আদেশ দিবেন। তিন জেলা পরিষদ চালক নির্ধারনের আগে চালইন দিয়া ছাঁকিয়া ফর্দ বানাইবেন।
মা’গো চাঁটগার চম্পক বড়ুয়াতো নানান কিছিমের নাটক সাজাইয়া দাদু-দিদিগোর অর্থ সম্পদ লটু করিয়া চম্পট হইবার আগেই ধরা খাইয়াছে। করেনায় বহুতের জীবনাবশান হইয়াছে আপুনার প্রনোদনা লইয়া শিক্ষা বোর্ডেও ভাগ বসাইয়াছে এই হইলো নিলর্জ্জ বেহায়াগোর কান্ড। চমেকের সামনে রসায়নিক দাহ্য পদার্থ যে কোন সময় অঙ্গার হইতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম লম্বাই রহিয়াছে। খুন খারাবি, চুরি, ডাকাতি, মাদক আদান প্রদানসহ অপকর্মের যেন শেষ নাই। এক লিডার রাজুতো আটক হইয়াছে। সিএমপির কমিশনার তানভীর এর মতন পুলিশে আরো কর্তার প্রয়োজন রহিয়াছে।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্বশক্তিধর করোনা। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা এস.এস.বি.এম, তারিখ- ০৮ নভেম্বর, ২০২০ খ্রীঃ