খাগড়াছড়িতে যক্ষা নিরোধ সমিতির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
॥খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে যক্ষা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৪নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি(নাটাব) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে “যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি(নাটাব) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ। এতে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী সিভিল সার্জন ডাঃ মিটন চাকমা, দৈনিক অরণ্যবার্তার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক আবু তাহের মোহাম্মদ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম, সাপ্তাহিক আলোকিত পাহাড় পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ সাজুসহ কর্মরত ইলেক্ট্রনিক্স, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন বলেন, যক্ষ্মা ছোঁয়াচে হলেও সচেতনতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে সাংবাদিক সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাধারণত বদ্ধ, স্যাঁতস্যাঁতে, ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝেই যক্ষা বা টিবি রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। যক্ষা বা টিবির জীবাণুর সংক্রামণ বৈশিষ্ট্যের কারণেই এমনটি হয়। এ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতার মাত্রা কম থাকায় এ রোগের বিভিন্ন লক্ষণ বা উপসর্গ ধাপকে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সিংহভাগেরই তেমন ভালো কোনো ধারণা নেই।
তিনি আরো বলেন, মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কিউলোসিস নামের এক ধরনের জীবাণু থেকে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত রোগীর কফ থেকে এ রোগের জীবাণু একজনের দেহ থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করে। এ রোগের কোন নির্দিষ্ট সুপ্ত কাল নেই। যেসব রোগী ৩ সপ্তাহের বেশি জ্বরে ভোগে তাদের ৩৩ শতাংশ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাবনা থাকে। রোগের লক্ষণ ও এর চিকিৎসা সম্পর্কে সংবাদকর্মীরা সমাজে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে।
পরে করোনা সচেতনা বাড়াতে নাটাবের উদ্যোগে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।