লামায় মেরাখোলা হরি মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বান্দরবানের লামায় মেরাখোলা হরি মন্দিরে রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বিশ^ নাথ দে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকালে মন্দিরের সেবক শেফালি বসাক মন্দির পরিষ্কার করতে আসলে বিষয়টি নজরে আসে। পরে চুরির বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও লামা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। শুক্রবার (৩০অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জনা যায়।
মন্দির কমিটির সভাপতি সাধন সেন বলেন, চোররা মন্দিরের উত্তর পাশের দেয়াল টপকে প্রবেশ করে মন্দিরের মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে থেকে ২টি দান বাক্স, ১টি ছোট স্বর্ণের মূর্তি (আনুমানিক ৪/৫ ভরি), ৩টি পিতলের মূর্তি (রাধা-গোবিন্দ মূর্তি), নারায়ণ মূর্তির গলার চেইন (দেড় ভরি), কানের দুল ১ জোড়া (৮ আনা), হাতের চুড়ি ১ জোড়া (১২ আনা) ও মন্দিরের ব্যবহৃত পিতলের জিসিনপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। গতরাতে আমরা লক্ষী পূজা শেষে মন্দির কমিটি রাত ১১টায় মন্দির হতে যাই। রাতের কোন এক সময় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আমরা লামা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, নারায়ণ মূর্তির অলংকার খুলে নিয়ে গেছে। মন্দিরের সেবক শেফালী বসাক বলেন, এই মন্দিরে কখনো চুরি হয়নি। এই প্রথম চুরির ঘটনা ঘটেছে। রাত ১০টায় লক্ষী পূজা শেষ করে বাড়ি চলে গিয়েছিল। রাতে মন্দিরে কেউ থাকে না। মন্দিরের পাশর্^বর্তী বাসিন্দা রূপন কান্তি নাথ বলেন, রাত ২টা ৩০ মিনিটের সময় মন্দিরের দিক থেকে একটি শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। পরে দেখি মন্দিরের বাহিরের গেইটের তালা ঠিক আছে। সকালে চুরির বিষয়টা জানতে পারি।
ঘটনা শুনার পরপরই শনিবার বেলা ১১টায় লামা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলমগীর সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ চুরির আলামত ও চুরির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলমগীর বলেন, আমরা গুরুত্বের সাথে বিষয়টি তদন্ত করছি। সকল আলামত ও তথ্য মাথায় নিয়ে চুরির ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মন্দিরে চুরির ঘটনাটি কে বা কারা করেছে তাদের দ্রুত ধৃত করতে আমার থানার পুরো টিম কাজ করছে। এদিকে মন্দির চুরির ঘটনা জানাজানি হলে লামা-আলীকদম সেনা জোনের একটি সেনা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।