রাঙ্গামাটিতে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
॥ মোঃ আরিফুর রহমান ॥
দিনমজুর আনসার আলী ও নাজমা বেগমের দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে আশামনি (১১) ও নাঈম (০৮)। আশামনি ছিল শান্তশিষ্ট ও ভদ্র স্বভারে মেয়ে। কারো সাথে কোন ঝগড়া বা ঝামেলা পাকাতো না। সে নিউ রাঙ্গামাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী হাসানের বাসায় ভাড়ায় থাকেন। তবে সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে বেশ কয়েক বছর ধরে। যার ফলে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যাও করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু এবার কেউ ঠেকাতে পারেননি আশামনির আত্মহত্যা। অবশেষে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারস্থ ২নং পাথর ঘাটা এলাকার বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বাড়ি মালিক হাসান সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়’র প্রতিবেদককে জানান, নিহত আশামণির ছোট ভাই নাঈম (৮) তাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দেখে গলায় কাপড় পেঁছানো অবস্থায় ঝুলে আছে আশামনি। খবর পেয়ে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আশামনির মরদেহ উদ্ধার করে।
নিউ রাঙ্গামাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পারভীন ফেরদৌসী জানান, মেয়েটি ছিল শান্তশিষ্ট ও ভদ্র স্বভাবের। তার বিরুদ্ধে কখনো কোন অভিযোগ আসেনি। নিহতের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তার মা মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে কাজ করতো আর বাবা ছিল দিনমজুর। পারিবারিক কোন ঝামেলাও দেখেনি বলে তারা এ প্রতিবেদককে জানান।
নিহতের বাবা আনসার আলী বলেন, তার মেয়ে সব সময় শান্তশিষ্ট ছিল। কখনো কারো সাথে ঝগড়া করতো না। তবে এর আগেও সে আত্নহত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে মেয়ের শোকে অসুস্থ হয়ে মা নাজমা বেগম রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন।
রাঙ্গামাটি কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।