[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

একটি সেতুর ভীষণ প্রয়োজন

যাদের ভরসা বাঁশের ভেলায়!

১১৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার ডেবাছড়া এলাকার প্রায় ৯০ পরিবারের কাপ্তাই হ্রদ পারাপারে ভরসা বাঁশের ভেলায়। বাঁশের ভেলায় পারাপারে প্রতিনিয়ত মানুষজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হ্রদের উপর সেতু নির্মাণের দাবি থাকলেও সাড়া দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের ভেলা দিয়েই প্রতিনিয়িত হ্রদ পারাপার হচ্ছেন এখানকার নারী পরুষ, বৃদ্ধ, শিশুসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। প্রতিদিন এই ভেলায় স্কুল কলেজে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। হাটবাজার, জেলা শহর ও অন্য গন্তব্যে যেতে এই ভেলাই ব্যবহার করে থাকেন এখানকার মানুষেরা। প্রতিকূল পরিবেশ বা দুর্যোগকালীন সময়ে হ্রদ পারাপার করতে গিয়ে ঘটে হিতে বিপরীত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য হ্রদের ওপরে নেই কোনো সেতু। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের ভেলা দিয়েই প্রতিনিয়িত হ্রদ পারাপার হচ্ছেন এখানকার নারী পরুষ, বৃদ্ধ, শিশুসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ । এছাড়াও এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ হলে এবং মারা গেলে তাদের নিয়ে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। তাই একটি সেতুর ভীষণ দরকার বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় গ্রামবাসী প্রেমরঞ্জন চাকমা জানান,বর্ষার মৌসুমে পানি ভরপুর হলে তাদের বাশেঁর ভেলা তৈরী করে এলাকা থেকে পারাপার হতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে এলাকার ছেলে-মেয়েরা নিরাপদে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারবে।

১নং জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিরঙ্গ মোহন চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে গেলে দুই থেকে তিন মাস মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারে। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে পানি ভরপুর হলে এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। অবশিষ্ট মাসগুলো এভাবেই বাঁশের ভেলা দিয়ে পারাপার হতে হয়।

১নং জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা জানান, সেতু নির্মাণের জন্য জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদকে অবগত করা হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হলে এলাকাবাসীর যাতায়াতের পথ সুগম হবে।

এ ব্যাপারে জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা জানান, উন্নয়নের ক্ষেত্রে জুরাছড়ি উপজেলা এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। আগামীতে পিআইও অফিস থেকে সেতুটি নির্মাণ করা যায় কিনা চেষ্টা করা হবে। তিনি আরো জানান,রাস্তা,কালভার্ট,বিজ্র নির্মাণ করতে হলে জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই জুরাছড়ি ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে পার্বত্য মন্ত্রনালয় , জেলা পরিষদ এবং উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।