পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৩৬
ফটাফট ২০/৫০টা ফালাইয়া দিতে ওয়ার্ডার করেন,বন্ধু হইতে না পারিলে বদলি দিয়াও কিছু হইবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও অবাধ্য জীবানু করোনার অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৩৬ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন।যাউগ্গা, এইবার পর আলোচনা হইলো….
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ্ব নেতা মা’জননীগো আমি অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদ দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। পাহাড়ের অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাজের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’জননীগো দেশব্যপী নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনা লইয়া উত্তাল চলিতেছে। দেশের এমুন কোন জেলা উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চল নাই যে নারী লইয়া রাক্ষস খোক্কসের দল টানাটনি করিতেছে না। এইসব ঘটনাতো দেশরে দূর্নামের দেশে পরিনত করিতেছে। বহু নারী ধর্ষণ ঘটনায় আপুনার দলের পোলাপাইনও পাক্কা জড়িত। আইনতো বহুত প্রণয়ন হইয়াছে তয় কঠোর প্রয়োগ কেন হইতেছে না। মা জাতির উপর যেইভাবে অত্যাচার চলিতেছে দেশেতো অমঙ্গল ডাকিয়া বসিয়াছে। দেশের দাদু-দিদিরাতো লজ্জায় মুখ দেখাইতে পারিতেছেনা। মানুষ নামের পশু-অসুরদের বধ্ করিতে আপুনি কখন কঠোর হইবেন। মা’গো সময় কিন্তু নাই এই অবস্তা লইয়া কিছু দিনের জইন্য চক্ষু লাল করিয়া কাজ চালাইয়া যান। এক্কুন আর বাছ-বিচার করনের সময় নাই, গোটো দেশে ফটাফট ২০/৫০টা ফালাইয়া দিতে ওয়ার্ডার করেন।
মা’রে আমাগো পাহড়ের বহুত আনাচে কানাচেও নারী ধর্ষণ ঘটনা হইতেছে। বহুতে লজ্জা শরমে সামাজিক হেয় হইতে বাঁচিতে প্রকাশ করিতেও সাহস পাইতেছেনা। দুই একটা প্রকাশ হওনের পর শালিশের নামে নারীর সম্ভ্রমকে পন্যে পরিণত করিয়াছে। আপুনার দলের হোমড়াচোমড়া শালিশ করিতে যাইয়া উল্টো নালিশের খাতায় নাম লেখাইয়া আইন আদালতকে অবমাননা করিতেছে। মহালছড়ি, বাঘাইছড়ির স্কুল ছাত্রী ও খাগড়াছড়ির প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ ঘটনা পাহাড়ের দাদু-দিদিরাও তুষের আগুনের মতন জ্বলিতেছে। মা’গো এই অপরাধের বিচারে সময় চলিয়া গেলে যে সাধনও বিফলে যাইবে।
মা’রে আপুনার দলের বিজ্ঞ বহুত দাদু-দিদিতো চহিতেছে তিন পাহাড়ে পৌর নির্বাচন, জেলা পুরিষদের অন্তবর্তি পুরিষদ গঠনের আগে দুনীতিবাজগোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে আদেশ করিবেন। দূনীতি লইয়া রাজধানী আর দেশের বহুত স্থানের লুটেরা, অর্থ পাচারকারীগোর বিরুদ্ধে কঠোর হইলে পাহাড়ের লুটেরা গুষ্টিগোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা লইতেছেন না। একবার টান দিলেই দেখিবেন ফত ফত করিয়া ভালা মানুষ-নেতা নামধারীর চেহারা পুরিস্কার হইয়া যাইবে। আমাগো তিন পাহাড়ে দূর্নীতি দমন পুতিষ্ঠান আছে কি নাই প্রশ্ন তশ্ন করিতেছে। তাইনেরাতো আমাগো সাংবাদিকগোরে তথ্য তালাস কিছুই দিতে চাহেনা। মনে হইতেছে তাঁগো বুকের পাঁঠা লুজ্। মা’গো যদি কামেই না আসে তয় নামখাওয়াস্তের রাখনের কাম কি।
মা’রে পৌরসভা নির্বাচন মাদার ডিস্ট্রিক্টের চুুতুর দাদু-দিদিরা নগরে নগরে ঘুরিতেছে। ক্ষমতায় অধিষ্ট আমাগো চৌধুরী দাদু গেল পাঁচখানা বছর কি কাম করিয়াছে তা লইয়া কুইশানের রান চলিতেছে। পাক্কা হুনিতেছি তাইনে ছাড়া নাকি দলের কেউই নমিনিশন পাইবে না। দলের বহুতে কহিলো তাইনে নাকি শরীলে দূর্নাম লাগাইয়াছে। তয় ভাবিয়া করিও কাইজ করিয়া ভাবিওনা কথাডা মনে রাখিতে হইবে। বান্দরবন পাহাড়েও বহুতের কাপুনি ছুটিয়া গিয়াছে। বেবী দাদুর বিরুদ্ধেওতো বহুতে গুজুর, গুজুর, ফুসুর, ফুসুর করিতেছে। হেইখানে নাকি গোটা শহরের সিতান পইতানও টিক নাই। ধুলোবালিতে আবরণ মাখিয়া নগরের দাদু-দিদিরাও সাদা হইয়া বসে। ক্ষণিকের চেয়ারে বসিয়া হেইখানেও বহুতে বনিক হইয়া বসিয়াছে। ক্ষমতার পালা বদলের সময় আসিলে দরদে যেন নিজেরাও উৎড়াইয়া পড়িতে বসে। পরিবর্তন হইলো ভালা উন্নয়নের চ্যাপটার তয় ব্যর্থগোর তালিকা তৈরী করনেরও আদেশ করিবেন। মা’জননী খাগড়াছড়ি পৌরসভার রফিক দাদুরে লইয়াও ঠেঁসগুতো চলিতেছে। তাইনে কিছু কিছু কাইজ কাম ভালার তালিকায় পড়িলেও। বহুতেতো নিন্দা করিতেছে। দূর্নীতির গন্ধসন্ধ বাহির করিতেছে। মিঠা মিঠা কথা কহিয়া বহুত দাদুরে তাইনে তিতা বানাইয়া রাখিয়াছে। কুজেন দাদুতো হেই একই অবস্থা। এই পাহাড়েও তালিমালির বিষয় আশয় খোঁজ লইতে সেতু দাদুরে ফর্দ দিবেন।
মা’জননীগো মেজর অব সিনহা হত্যা ঘটনায় ওসি প্রদীপ-লিয়াকত গং’দের বিষয় আসয় দেশের দাদু-দিদিগোর জানাইতে বিশেষ দৃষ্টি রাখিবেন। দেশ স্বাধীনের পর পুলিশে ওসি প্রদীপ-লিয়াকত গং’দের মতন আর প্রকাশ হয় নাই। এত্তবড় কান্ড ঘটনাইয়া দেশে বিদেশে সম্মান হানি করিয়া সিংহা হত্যা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ দেশের দাদু-দিদিগোর বুকের পাঁজওে ব্যথা তুলিতেছে। পুলিশ বাহিনীরে বিশ্বের দরবারে যেইভাবে ছোট করিয়াছে তাগোর কোন ক্ষেমা নাইরে মা। দেশে লুটের তালিকায়তো নতুন নতুন চেহারা দেখা যাইতেছে। আপুনার উন্নয়নের টাকাতো এই চোরের দলই লাগাতার পাচার করিয়াছে। স্বাস্থ্যের কর্মচারী রুহুলও যদি দুইশো কুঠি টাকার মালিক বনিয়া যায় তয় জনগনের উন্নয়নের টাকাতো তাঁগো পকেটেই ভরিয়াছে। রিয়েল এস্টেটের নাসিম-হালিমার তিনশো কুঠি টাকা আত্মসাত আরেক পিলে চমকানোর ঘটনা। দেশের মহা মহা অধিদপ্তরে দুদকরে চালইন দিয়া ছাঁকিতে ওয়ার্ডার করেন।
বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যাকান্ডের বিচারের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হইলে দেশে দাদু-দিদিগোর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়া যাইবে। বিচার রায় লইয়া ছুলছেড়া বিশ্লষণও হইতেছে। দেশেতো এই ধরনের আরো ঘটনা ঘটিয়াছে হেইসব ঘটনার বিচার কি হইবে। হাইকোর্টেও তথ্য গোপন করিয়া জোড়া খুনের আসামী যদি জামিন পাইয়া বসে তয় অপরাধীরাতো অপরাধ করিয়াই যাইবে। এই মহা আকামে যারা জড়িত তাঁগোরেও খুনের ঘটনার অন্যতম আসামী হিসেবে নথিভুক্ত করনের দরকার। এমসি কলেজে গৃহবধূসহ সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা জড়িতদের দ্রুত ফাঁসির কাঠগড়ায় তুলিতে আদেশ করিবেন।
মা’গো আবারো পিঁয়াছ লইয়া ষড়যন্ত্র আর কতো। একদিকে চিপিলে আরেকদিকে ফুলিতে বসে। ভারতের দাদুরাও পিঁয়াছ লইয়া মশকরা করিতেছে। বিশ্বেতো বহু দেশে পিঁয়াছের ফলন হইতেছে।দেশে এত্ত পিঁয়াছ আসিলেও দামতো এখনো ৮০/১০০শতে রহিয়াছে। লুটেরা পুঁজিপতিরা জনগনরে আর কতো চুষিলে তাইনেগোর কলিজা ঠান্ডা হইবে। বাণিজ্যমন্ত্রী দাদু দেশে বসিয়া না থাকিয়া পিঁয়াছের দেশে হায় হ্যালো করিলেইতো চোরের দল আর সুযোগ পাইবে না। ইলেকশন কমিশনে আর কতো শয়তান ধরা পড়িলে কমিশনের হুস হইবে। দেশেতো অপশক্তিরা তলে তলে শক্ত বাসা বাঁধিয়াছে। সুযোগ পাইলেই লুটের খাতায় নাম-গ্রাম তুলিতেছে।
মা’গো চাঁটগার অবস্থাতো তলে তলে শয়তানের পল্লা ভারি। কন্ঠশিল্পি জনি দে তো কারো অপরাধ করে নাই। এই শিশুরেও গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে সন্ত্রাসী গুষ্টি এই ঘটনার হেতু কি বাহির করিতে আদেশ করিবেন। ইলিশের গাড়িতেও ইয়াবা পাচার হইতেছে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম লম্বাই রহিয়াছে। অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা বিচার-সাজা লইয়াতো অসন্তোষ বাদী। সন্তান বিক্রি করিয়া বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধু ধর্ষণ এই মা’রতো নারির টানও গেল সম্ভ্রম গেল, মা’গো এত্তবড় দুঃখ কোন মা’ইবা সইতে পারিবে। অপরাধীদের কোন ছাড় নয়। পুলিশ রাষ্ট্র ও জনগনের বন্ধু হইতে না পারিলে বদলি দিয়াও কিছু হইবে না। চসিকের বিছানার সিট, সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকল্প লইয়াও তালিমালি।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্বশক্তিধর করোনা। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১১অক্টোবর, ২০২০ খ্রীঃ