[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটি পুলিশের প্লাজমা দান একটি মহৎ উদ্যোগ 

৩৯

করোনার বিরুদ্ধে চলছে বিশ্ব ব্যাপী যুদ্ধ। বিশ্বের প্রত্যেকটি রাষ্ট জনগনের জীবন বাঁচাতে নানান উদ্যোগ গ্রহনের যেন শেষ নেই। কোন কোন রাষ্ট্র করোনা ধ্বংসে নিজ নিজ উদ্যোগে চারাচ্ছে নানান প্রতিষেধক ঔষধের। ইতিমধ্যে কোন কোন রাষ্ট্র তাঁদের ঔষধ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষেধক আবিস্কারের ঘোষনা দিয়েছেন, আবার কোথাও কোথাও মানব দেহে তা পরীক্ষামূলক প্রয়োগও করেছেন। এর পরও রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সরকার সহ আক্রান্ত মানুষগুলো। আমাদের সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি পূর্ব থেকেই সজাগ এবং জনগন বাঁচাতে কঠোর না হতেন দেশের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে হয়তো কান্নার শব্দ এর তরঙ্গ বয়ে যেত।

সরকার প্রধান দেশে করোনা সংক্রমনের শুরুতে উপযুক্ত প্রস্তুতির কারনে অনেক অনেক মানুষ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। দেশে ২৬ মার্চ ২০২০ইং হতে লকডাউন ঘোষণা করায় দেশবাসী মহা সংক্রমন থেকে রক্ষা পেয়েছে এটি নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। কিন্তু শুরুতেই কোথাও কোথাও যে ভীতি এবং মানুষের ক্ষতি হয়েছে তা চিকিৎসা শাস্ত্রে জড়িত ডাক্তার নার্সদের কারনেই হয়েছে। সংক্রমনের ভয়ে তারা হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ব্যক্তিগত চেম্বার ছেড়ে লুকিয়ে থাকায় করোনায় যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, মানুষ মারা গেছে তা তাঁদের ভীতির কারনেই হয়েছে এটি অস্বীকার করারও সুযোগ নেই। তবে হ্যাঁ এই রোগ থেকে ডাক্তাররাও যে মুক্ত সেটিও নয়। কিন্তু সচেতনতার মাধ্যমেই এই রোগকে প্রতিরোধ করা যেতো, যা পরবর্তী সময়ে এভাবেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে আসছে। আবার যারা এই রোগ থেকে বেঁচে রয়েছেন তাদের রক্তের প্লাজমা অন্য রোগীকে বাঁচাতে সাহার্য্য করে চলেছে। তাই দেশের অনেকেই বেঁচে গিয়েও রক্ত দান করেছেন অন্য রোগীকে বাঁচাতে।

তাই ঢাকার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে প্লাজমা দান করতে গেলেন রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের  ৫১ সদস্যের একটি দল। যে দলটি করোনা সংক্রমণ হয়ে ভালো হওয়ার পর তারা দেশে সংক্রমিত রোগীদের বাঁচাতে মহতি উদ্যোগ নিয়েছে। থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এসব পুলিশ সদস্যকে বিদায় জানান জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ। করোনাজয়ী পুলিশ সদস্যরা নিজেদের প্লাজমা বাংলাদেশ পুলিশ প্লাজমা ব্যাংকে জমা দেবেন। মানুষের জীবন বাঁচাতে প্লাজমা দিয়ে মানব সেবায় অংশ গ্রহণ করতে পারছে বলে নিজেদেরকে ধন্য মনে করেন এসব পুলিশ সদস্যরা। রাঙ্গামাটি পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার সচেতমন মহলও। তাদের এ মানুভবতা, মহৎ উদ্যোগ করোনা আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে বড় অবদান রাখবে। যারা বেঁচে গেছেন তদেরও এ ধরনের মহতি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।