[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় বন্যহাতির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বসতবাড়িকাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে এক হাজার পরিবারদীঘিনালায় আশ্রয় কেন্দ্রে বিএনপি’র ত্রান সহায়তা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি ও ডুলহাজারা সড়ক

সড়ক নয়, যেন মরণ ফাঁদ

১০৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

এক হাঁটু কাঁদা, খানাখন্দে ভরপুর ও জরাজীর্ণ একটি সড়কের নাম বগাইছড়ি ডুলহাজারা সড়ক। “রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ”। ৪ কিলোমিটার সড়কটির সম্পূর্ণ অংশে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সড়কের খানাখন্দ গুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরই সড়কটি মেরামত করা হলেও বেপরোয়া বালুর গাড়ি চলাচলের কারণে দ্রুত সময়ে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ লোকজন।

মোঃ জলিল নামে এক স্কুল শিক্ষক জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে অন্তত ২০টি পয়েন্ট থেকে উত্তোলনকৃত বালুর ৩ শত থেকে ৫ শত গাড়ি চলাচল করে। যার দরুণ সড়কটির এই বেহালদশা। এই সড়কটি দিয়ে ইউনিয়নের অর্ধেকের বেশী প্রায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। তাদের কত যে ভোগান্তি তা বলে বুঝানো যাবে না।

সরেজমিনে গেলে সড়কের মালুম্যা এলাকায় একটি সিএনজি রাস্তার মাঝে সৃষ্ট বড় গর্তে পড়ে যেতে দেখা যায়। সেসময় মায়ের কোল থেকে একটি ৪ মাসের শিশু কাঁদাপানিতে পড়ে যায়। পাশে থাকা পথচারীরা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে শিশুটিকে একহাটু কাঁদা মিশ্রিত পানি থেকে তুলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে।

সিএনজি ড্রাইভার মোঃ হেলাল বলেন, আমরা গাড়ি চলানো কাজে বিভিন্ন জায়গায় যায়। কোথাও এমন রাস্তা নেই। রাস্তায় এতবড় গর্ত, জমে থাকা ময়লা পানির জন্য তা বুঝা যায়না। সবসময় এমন দুর্ঘটনা হয়।

ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন মামুন বলেন, বেহাল রাস্তার দুর্ভোগ আর গেল না। ৫টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে এই রোডটি দিয়ে। বালির গাড়ির কারণে যোগাযোগের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একজন মুমূর্ষ রোগীকে ডাক্তারের কাছে জীবিত নিয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব না !

ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, বগাইছড়ি ডুলহাজারা সড়কের ন্যায় ইউনিয়নের আরো ৬টি সড়ক বালুর গাড়ির জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। অবৈধ বালু বন্ধ না হলে সড়ক মেরামত করে ঠিক রাখা যাবে না।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, যেহেতু লামা উপজেলায় কোন বালুর মহালের অনুমোদন দেয়া হয়নি, তাই বালু বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলা হবে। বিষয়টি আগামী মাসে জেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে।