[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আনাচে-কানাচে উন্নয়ন হলে বিহাপুর গ্রামবাসী কেন বঞ্চিত

১৩৯

রাঙ্গামাটি জেলা শহরে বেশ কিছু প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, পৌরসভা সড়ক, কালভাট, ফুত ব্রীজসহ সংস্কারের কাজ করে চলেছে। অথচ বন বিহার এলাকার বিহাপুর গ্রামের মানুষগুলো একটি ফুথ ব্রীজের অভাবে নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে চলেছেন। প্রায় তিনশত পরিবার উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চলাচলের জন্য একটি ফুত ব্রীজটি করে দেয়ার দবি জানিয়েছেন।

জানা গেল, শহরের ৯নং পৌরসভা ওয়ার্ড এর বন বিহার এলাকার বিহাপুর গ্রামের মানুষ যোগাযোগের একটি ব্রীজের অভাবে বহু কষ্টে দিন যাপন করছেন। বর্তমানে গ্রামের মানুষের নিজ উদ্যোগে কাঠের সেতুটি করলেও এখন ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করছেন। তাই গ্রামের মানুষ একটি ব্রীজের দাবি জানিয়েছেন। এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুরো শহরের অনেকস্থানে পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক যোগাযোগ ব্যবস্থার নানান উন্নয়ন করলেও শহরের বন বিহার এলাকার বিহাপুর গ্রামের মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এখনো বঞ্চিত রয়েছে। নানান পেশায় জড়িত স্থানীয়রা আরো জানান, পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের নানান এলাকাতেও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে হয়েছে। কিন্তু বিহারপুর গ্রামের মানুষে চলাচলের জন্য একটি সেতুও করা হয়নি। গ্রামের মানুষ তাদের নিজের অর্থ ও শ্রম দিয়ে কাটের সেতু তৈরী করে চলাচল করছেন। এভাবে দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে নিজেদের উদ্যোগেই যোগাযোগ ব্যবস্থার সৃষ্টি করে চলাফেরা করছেন। সব চাইতে বিপদ হলো কেউ কোন অসুখে মূমূর্ষ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে চরম বিপদে পড়তে হয়। প্রতিদিনই বিপদ নিয়ে এ সেতু দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে ধর্না দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠানই বিহারপুর গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য একটি কাঠের সেতু পর্যন্ত তৈরী করে দেননি। গ্রামের অনেক ছোট ছোট ব্যবসায়ীরাও অনেক কষ্টে মানুষের চাহিদা পূরন করে চলেছেন। অথচ স্থানীয়রা সরকারি সকল প্রকার টেক্সও প্রদান করে আসছেন। বর্তমানে কাঠের এ সেতুটি ভেঙ্গে আরো বিপদ বেড়েছে। নিজ উদ্যোগে সেতুটি মেরামত করা হলেও তা সমায়িক। তাই স্থানীয়দের দাবি একটি স্থায়ী ব্রীজ। এটি করা হলে সবক্ষেত্রেই মানুষের উপকারে আসবে এবং বিপদ এড়ানো সম্বব হবে। তিনি পৌরসভা, জেলা পরিষদ বা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বন বিহার এলাকার বিহাপুর গ্রামের মানুষের জন্য একটি স্থায়ী ব্রীজ করে দিতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য আহ্বান করেন। তিনি শহরের প্রত্যেক এলাকার আনাচেকানাচে উন্নয়ন হলে আমরা ২৫০ পরিবারের মানুষ কেন বঞ্চিত থাকব তার প্রশ্ন তোলেন। জনকল্যাণে বিহারপুরবাসী দাবি পূরনে উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

ই-পিসি/আর