প্রতিবন্ধী কাদের এর পাশে পার্বত্য প্রেসক্লাব ও দৈনিক সবুজ পাতার দেশ
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
প্রতিবন্ধী মোঃ কাদের এর পাশে দাঁড়িয়েছেন পার্বত্য প্রেসক্লাব ও খাগড়াছড়ি জেলার জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত পত্রিকা দৈনিক সবুজ পাতার দেশ। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পার্বত্য প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতিবন্ধী মোঃ কাদেরকে কর্মসংস্থানের উপকরণ হিসেবে একটি রিক্সাভ্যান তুলে দেন পার্বত্য প্রেসক্লাবের সদস্যরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক এড. মোঃ জসিম উদ্দিন মজুমদার, পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি দেব প্রসাদ ত্রিপুরা, দৈনিক সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ জুলহাস উদ্দিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি সাংবাদিক যতন কুমার ত্রিপুরা, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ দুলাল হোসেন, এড. নুর উল্্যহ হিরো, পার্বত্য প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য সাংবাদিক সুজন বড়ুয়া, সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আশেক উল্যাহ প্রমুখ।
এসময় খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক এড. মোঃ জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য যদি মহৎ হয়, শত বাঁধা বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। পার্বত্য প্রেসক্লাব এবং সবুজ পাতার দেশ সংস্থা দুটি যেভাবে সমাজের দুঃস্থ মানুষের সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করছেন এটি সমাজের অন্যান্য ব্যক্তি-সংস্থার বিবেককে নাঁড়া দেবেই। সমাজের বিবেকবান বিত্তশালী ব্যক্তিরা যদি এগিয়ে আসেন দুঃস্থ -অসহায়দের সহযোগীতায়, তবে সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের বেশী বেগ পেতে হবে না।
পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি দেব প্রসাদ ত্রিপুরা বলেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে থেকেও এধরনের ছোট ছোট মানবকল্যানে নিয়োজিত রাখার লক্ষ্য নিয়েই পার্বত্য প্রেসক্লাবের অগ্রযাত্রা। সেবার আত্মপ্রত্যয় নিয়ে আমরা সকলের সহযোগীতায় এগিয়ে যেতে চাই।
দৈনিক সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ জুলহাস উদ্দিন বলেন, পার্বত্য প্রেসক্লাব ও দৈনিক সবুজ পাতার দেশ যৌথভাবে বিভিন্ন সমাজ সেবামুলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবে। খাদ্যপণ্য নিয়ে করোনায় র্দুগত মানুষের পাশে যেমনি ছিল এ দুটি সংস্থা, তেমনি সরকারের ত্রাণ তহবিলে অর্থ জমা দিয়ে অন্যান্য নজির স্থাপনকারীও আমরাই।
খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের আংশিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি। ঝালমুড়ি বিক্রি করে অন্ধ মা, এক পুত্র সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে তার সংসার চলতো। করোনার করাল থাবায় বেকার হয়ে পড়ে কাদের। ঝালমুড়ি বিক্রির পুঁুিজটুকুও হারিয়ে ফেলে সে। কাদের বলেন, কোন টাকা পয়সা অবশিষ্ট নাই। খাবার নাই। থাকার ঘর ভেঙ্গে পড়ছে। এমন সংকটে আত্মহত্যার চিন্তা করছিলাম। কিন্তু কয়েকজন সংবাদিক মরতে দিলেন না। আমাকে কর্মসংস্থানের অন্যতম উপকরণ রিক্সাভ্যান দিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন।
ই-পিসি/আর