[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দীঘিনালায় পাহাড়ের ঢালুতে মিষ্টি পান চাষ

৭৭

॥ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥

এই গ্রামে আগে কেউ পান চাষ করতো না। প্রথমেই পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি পান চাষ করার উদ্যোগ নিই আমি। জুম চাষের পাশাপাশি দুটো পানের বরজে পান চাষ শুরু করি। দুটো পান বরজেই ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে পানও বিক্রি করা শুরু করেছি। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পান উত্তোলন করার সময় প্রতিবেদককে এসব কথাগুলো বলেন, দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পানচাষী নবীন কুমার ত্রিপুরা (৩৬)।

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে তিনি বিনয় ত্রিপুরা নামে একজনের কাছ থেকে পান চাষ করার পরামর্শ নেন। পরে তিনি ২০১৯ সালে পান চাষ শুরু করেন। এখন তাঁর স্ত্রী রনিকা ত্রিপুরাসহ (৩৩) দুজনেই পানের বরজ পরিচর্যা করেন। দুটো পানের বরজ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান ।

অপর পান চাষী হতেন ত্রিপুরা জানান, নবীন কুমার ত্রিপুরার পানের বরজের চাষ দেখে তিনিও একটি পানের বরজ করেন। এই বরজ থেকে পান উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এবিষয়ে সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসীম চাকমা জানান, সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামে পাহাড়ে ঢালুতে উৎপাদিত হচ্ছে সুমিষ্ট পান। উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেখাদেখি অনেকেই চাষ করছেন।

জানা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে জুম চাষের পাশাপাশি প্রথম পান চাষ শুরু করেন নবীন কুমার ত্রিপুরা। নবীন কুমার ত্রিপুরা কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অনেকেই পান চাষ করেন। বর্তমানে এসব গ্রামে ২০টির অধিক পানের বরজ রয়েছে। এসব বরজের পান সুমিষ্ট হওয়ায় জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন, স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ীরা। প্রতি বিড়া ছোট পান ১৪ টাকা, মাঝারি পান ১৮ টাকা এবং বড় পান ৪০ টাকা দরে কিনে নেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

ই-পিসি/আর