[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় সাড়ে ৬ লাখ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংসখাগড়াছড়ির রামগড়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতারদীঘিনালায় নবাগত ইউএনও শান্তি ও উন্নয়নে সবার সহযোগীতা চাইলেনবান্দরবানের আলীকদমে বন্দুকের গুলিতে পর্যটকের মৃত্যু, চার বন্ধু আটকদীঘিনালায় কৃত্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বিভাগের পুরস্কার বিতরণমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় রাঙ্গামাটির উক্য চিং মারমাও মারা গেলখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অস্ত্র, গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধারপাহাড়ের উন্নয়নে ঐক্য ও সম্প্রীতির বিকল্প নেই: খাগড়াছড়িতে নাহিদ ইসলামদীঘিনালায় নদীর গর্ভে বিলিন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচলখাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণের প্রতিবাদে দীঘিনালায় মানববন্ধন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দীঘিনালায় পাহাড়ের ঢালুতে মিষ্টি পান চাষ

৭৯

॥ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥

এই গ্রামে আগে কেউ পান চাষ করতো না। প্রথমেই পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি পান চাষ করার উদ্যোগ নিই আমি। জুম চাষের পাশাপাশি দুটো পানের বরজে পান চাষ শুরু করি। দুটো পান বরজেই ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে পানও বিক্রি করা শুরু করেছি। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পান উত্তোলন করার সময় প্রতিবেদককে এসব কথাগুলো বলেন, দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পানচাষী নবীন কুমার ত্রিপুরা (৩৬)।

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে তিনি বিনয় ত্রিপুরা নামে একজনের কাছ থেকে পান চাষ করার পরামর্শ নেন। পরে তিনি ২০১৯ সালে পান চাষ শুরু করেন। এখন তাঁর স্ত্রী রনিকা ত্রিপুরাসহ (৩৩) দুজনেই পানের বরজ পরিচর্যা করেন। দুটো পানের বরজ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান ।

অপর পান চাষী হতেন ত্রিপুরা জানান, নবীন কুমার ত্রিপুরার পানের বরজের চাষ দেখে তিনিও একটি পানের বরজ করেন। এই বরজ থেকে পান উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এবিষয়ে সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসীম চাকমা জানান, সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামে পাহাড়ে ঢালুতে উৎপাদিত হচ্ছে সুমিষ্ট পান। উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেখাদেখি অনেকেই চাষ করছেন।

জানা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে জুম চাষের পাশাপাশি প্রথম পান চাষ শুরু করেন নবীন কুমার ত্রিপুরা। নবীন কুমার ত্রিপুরা কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অনেকেই পান চাষ করেন। বর্তমানে এসব গ্রামে ২০টির অধিক পানের বরজ রয়েছে। এসব বরজের পান সুমিষ্ট হওয়ায় জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন, স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ীরা। প্রতি বিড়া ছোট পান ১৪ টাকা, মাঝারি পান ১৮ টাকা এবং বড় পান ৪০ টাকা দরে কিনে নেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

ই-পিসি/আর