[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
প্রবারণা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিয়নে ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিতপার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: উপদেষ্টা সুপ্রদীপখাগড়াছড়ির পানছড়িতে মৎস্যখাতে কোটি টাকার ক্ষতিলংগদুতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক জনসচেতনতা সভালংগদুতে অবৈধভাবে পাহাড়/টিলা কর্তনের দায়ে দুই ব্যক্তিকে অর্থদন্ডরাজস্থলীর বিমাছড়া পাড়ায় পানির সংকট দূর করলো সেনাবাহিনীদীঘিনালায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস, মিলাদ ও পুরস্কার বিতরণপানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিতকাপ্তাইয়ে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক সভারাজস্থলীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দীঘিনালায় পাহাড়ের ঢালুতে মিষ্টি পান চাষ

৭৯

॥ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥

এই গ্রামে আগে কেউ পান চাষ করতো না। প্রথমেই পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি পান চাষ করার উদ্যোগ নিই আমি। জুম চাষের পাশাপাশি দুটো পানের বরজে পান চাষ শুরু করি। দুটো পান বরজেই ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে পানও বিক্রি করা শুরু করেছি। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পান উত্তোলন করার সময় প্রতিবেদককে এসব কথাগুলো বলেন, দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পানচাষী নবীন কুমার ত্রিপুরা (৩৬)।

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে তিনি বিনয় ত্রিপুরা নামে একজনের কাছ থেকে পান চাষ করার পরামর্শ নেন। পরে তিনি ২০১৯ সালে পান চাষ শুরু করেন। এখন তাঁর স্ত্রী রনিকা ত্রিপুরাসহ (৩৩) দুজনেই পানের বরজ পরিচর্যা করেন। দুটো পানের বরজ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান ।

অপর পান চাষী হতেন ত্রিপুরা জানান, নবীন কুমার ত্রিপুরার পানের বরজের চাষ দেখে তিনিও একটি পানের বরজ করেন। এই বরজ থেকে পান উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এবিষয়ে সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসীম চাকমা জানান, সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া গ্রামে পাহাড়ে ঢালুতে উৎপাদিত হচ্ছে সুমিষ্ট পান। উৎপাদন ভালো হওয়ায় দেখাদেখি অনেকেই চাষ করছেন।

জানা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার সীমানা পাড়া এবং মিলন কার্বারী পাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালুতে জুম চাষের পাশাপাশি প্রথম পান চাষ শুরু করেন নবীন কুমার ত্রিপুরা। নবীন কুমার ত্রিপুরা কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার অনেকেই পান চাষ করেন। বর্তমানে এসব গ্রামে ২০টির অধিক পানের বরজ রয়েছে। এসব বরজের পান সুমিষ্ট হওয়ায় জেলা সদর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন, স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ীরা। প্রতি বিড়া ছোট পান ১৪ টাকা, মাঝারি পান ১৮ টাকা এবং বড় পান ৪০ টাকা দরে কিনে নেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

ই-পিসি/আর