[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দরিদ্রের ঘর ধনীর কাছে কেন

৭৮

জমি আছে বাড়ি নেই, দেশে গৃহহীন ও হত দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রায় তিন লক্ষ টাকার বাড়ি তৈরী নিয়ে হত দরিদ্রদের মাঝে আশার আলো ছড়ালেও কোথাও কোথাও ধনীরাও বাড়ি পাওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ পাচ্ছে। গৃহহীন ও হত দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাড়ির প্রকল্প এর কাজ দেশের বেশ কিছু জেলা উপজেলায় চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে যারা এসব বাড়ি পেয়েছেন তারা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বাড়ি শুধু মাথা গোঁজারই স্থান নয় সম্মানের স্থানও পূরন হয়েছে।

এদিকে দেশের কোথাও কোথাও স্থানে এ বাড়ি নিয়ে নানান অভিযোগ আপত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাড়ি নির্মনে মানের বিষয়েও আপত্তি করছে। সেই সাথে প্রকৃত দরিদ্র এবং জমি আছে বাড়ি নেই তাদেরকে দিতে দাবি করা হচ্ছে। তেমনি বান্দরবানে জেলার লামা উপজেলায় হতদরিদ্রের জন্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ স্বচ্ছল পরিবারকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ‘জমি আছে বাড়ি নেই’ প্রকল্পের ঘর স্বচ্ছল ব্যক্তির নামে বরাদ্দ প্রদান করায় এলাকায় অনেকের মাঝে ক্ষোভ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের হিমছড়ি পাড়ার স্বচ্ছল ব্যক্তি মৃদুল কান্তি দাশকে দেয়া হয়েছে হতদরিদ্রের ঘর। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে লামা উপজেলায় ১৫টি হতদরিদ্র পরিবারকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্প টি-আর, কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ বরাদ্দ দেয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জমি আছে বাড়ি নেই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত বাড়ি সমূহ ইতিমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে কোথাও কোথাও সুবিধাভোগীদের কাছে বাড়ি হস্তান্তরও করা হয়েছে। কিন্তু মৃদুল কান্তি দাশ সরকার তেকে প্রাপ্ত বাড়িটির চারপাশে বিশাল প্রাচীর দিয়ে তিনতলা ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ঘর নির্মাণ করছে। উপজেলার হিমছড়ি এলাকায় তার অনেক জায়গা জমি ও খামার বাড়ি রয়েছে। মৃদুল কান্তি দাশ সরকার হতে যে বাড়ি পেয়েছে সেটা যেন দেখা না যায় সে জন্য তিনি ঘরের চারপাশে বিশাল প্রাচীর দিয়েছেন। এ নিয়ে আজিজনগর ইউনিয়নের মোঃ মাসুম নামে অভিযোগ করেছেন মৃদুল কান্তি দাশ বর্তমানে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ও হিমছড়িতে সবাই একনামে চিনেন। অথচ এ ধনী কিভাবে হত দরিদ্রের বাড়ি পেলেন। এলাকাবাসী দরিদ্রের বাড়ি ধনীর কাছে বিষয় নিয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাটি সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দরিদ্রদের জন্য বাড়ি কেন ধনী ব্যক্তি পাবেন। যদি তাই হয় তাহলে দরিদ্রদের মাঝে যেমন ক্ষোভের সৃষ্টি হবে তেমন তারা এর থেকে বঞ্চিতও হবেন। শুধু তাই নয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোথাও কোথাও বাঁধা বা দীর্ঘসুত্রিতার ঘটনা ঘটবে। যা প্রকৃত দরিদ্রদের আরো কষ্ট বেড়ে যাবে। সুতরাং এসব বিষয়ে প্রশাসনের বিশেষ নজর রাখা দরকার। কেননা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দরিদ্রের ঘর ধনীর কাছে কেন, এমন প্রশ্ন না জন্মানোর জন্য।

ই-পিসি/আর