[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় পাহাড় কাটায়র দায়ে ৬ ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

৫২

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলায় পাহাড় কাটাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলা কার্যালয় ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন ইটভাটায় এ জরিমানা করা হয়। অভিযানে লামা থানা পুলিশ সহায়তা করে।

সূত্র জানায়, ফাইতং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ২৯টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ভাটায় ইট তৈরির জন্য পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন যৌথ অভিযান চালায়। এসময় পিবিসি ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা, এবিসি ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা, এফবিএম ইটভাটাকে ১ লাখ, বিবিএম ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা, এসবিডব্লিউ ইটভাটাকে ৩০হাজার, এফএসি ইটভাটাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদফতর বান্দরবানের সিনিয়র কেমিস্ট এ.কে.এম ছামিউল আলম কুরসি, জুনিয়র কেমিস্ট মোঃ আব্দুস সালাম সহ লামা থানা পুলিশের সদস্য এবং ইটভাটার মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরেরর জুনিয়র কেমিস্ট মোঃ আব্দুস সালাম।

এ.কে.এম ছামিউল আলম কুরসি বলেন, অবৈধ পাহাড় কর্তন বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬খ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই অবৈধ পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তবে এই ধরনের জরিমানা অবৈধ ইটভাটা পরিচালায় উৎসাহ যোগায় বলে মন্তব্য করেছেন লামা পরিবেশ রক্ষা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। অবৈধ ইটভাটায় জরিমানার নামে তাদের বৈধ করার কাগজ দেয়া হচ্ছে। সেই জরিমানার কাগজ ইটভাটার মালিকরা ব্যবহার করে বছরের পর বছর পরিবেশ ধ্বংস করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা আরো জানায়, ফাইতং একটি ইউনিয়নে ২৯টি ইটভাটা সহ উপজেলায় মোট ৩৫টি ইটভাটা রয়েছে। কোনটাই নেই লাইসেন্স। চলতি মৌসুমে এই ৩৫টি ইটভাটা কমপক্ষে শতাধিক পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে। যেহেতু ইটভাটা গুলো অবৈধ, সেগুলো বন্ধ না করে জরিমানা করে চালানোর সুযোগ দেয়া মানে পরোক্ষভাবে পরিবেশ ধ্বংসের উৎসাহ দেয়ার সামিল।