[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্থিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে ওয়ার্ল্ড পীস্’র মানববন্ধনঢাকা রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব পালন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ফুল বিঝু‘র র‌্যালী ও মাইনী নদীতে ফুল দিয়ে গঙ্গাদেবীকে পূজাবাঘাইছড়িতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও কাচালং নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিঝু শুরুপাহাড়ের বিঝু মেলাতে পাঁজন তরকারি খুবই জনপ্রিয়দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ব-বৃহৎ কো-অপারেটিভ ‘মৌচাকের’ ৩০ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিতবান্দরবানের আলীকদমে মাতামুহুরী ও তৈন খালে ফুল ভাসিয়ে বিষু-বিজু উৎসব শুরুবান্দরবানে গত তিন মাসে অপহৃত হয়েছে ৪৯জন, আতঙ্কে স্থানীয়রাপাহাড়ের সময় অনলাইন পোর্টাল আগামী ৭২-৯৬ ঘন্টা বন্ধ থাকবে
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ব

কাপ্তাইয়ে ২০ বছরে বন্ধ হয়েছে ৭টি সিনেমা হল

৯০

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

আকাশ সংস্কৃতির দৌরাত্ব আর দর্শকের অভাবে গত ২০ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে কাপ্তাই উপজেলার ৭টি সিনেমা হল। অথচ এই কাপ্তাই উপজেলা এক সময় রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যে বিনোদনের সেরা স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৯০ দশক পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলা ছিল জেলার সব চেয়ে উন্নয়নশীল এলাকা। সমগ্র উপজেলায় ছিল ৭-৮টি সিনেমা হল। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছিল বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। প্রায় সারা বছর জুড়েই এসব সংগঠনের কোন না কোন অনুষ্ঠান চলত। অথচ সময়ের সাথে সাথে একে একে বিনোদনের সব মাধ্যমই বন্ধ হয়ে গেছে। ১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনাধীন ” অলিম্পিয়া” সিনেমা হল বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অঙ্গনে ধস নামে। ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত “লোটাস” সিনেমা হল। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্থ হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা কেপিএমের আওতাধীন “চান্দিমা সিনেমা হল”। প্রায় একযুগ সিনেমা হলটি বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে সিনেমা হলটি পুনরায় চালু করা হলেও দর্শকের অভাবে একমাসের মাথায় হলটি আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৯ সালে বিধ্বস্থ হওয়া বাঙ্গালহালিয়ার “শান্ত সিনেমা হলটি” আর চালু করা যায়নি। ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালীর “উর্মি সিনেমা হল”। এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিঙ্গাছড়ির “বজ্রঙ্গনা” সিনেমা হলটি। সর্বশেষ দর্শকের অভাবে ২০০৬-২০০৭ সালের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত “বনলতা” সিনেমা হলটি। পরবর্তীতে দীর্ঘ অনেক বছর অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত এসব সিনেমা হল চালানোর আর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এলাকার প্রবীন কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বর্তমান সময়ের ব্যস্ত কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, আকাশ সংস্কৃতি আর ইন্টারনেটের বদৌলতে মোবাইলের মাধ্যমে এখন হাতে হাতে নতুন ছবি গুলো চলে আসে। তাই মফস্বল এলাকার সিনেমা হলে বসে ছবি দেখার সময় কোথায়। তবে তারা এও বলেন, হলে বসে ছবি দেখার মজাই আলাদা। যা মোবাইলে অথবা টিভিতে দেখে পাওয়া যায়না। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঐতির্হ্যরে প্রতিষ্ঠান দেশের সিনেমা হলগুলোকে নিয়ে ভাবা দরকার।